* ভিসি থাকা অবস্থায় নিয়োগ, টেন্ডার বাণিজ্যে কোটি টাকার দুর্নীতি; অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়েছেন স্বদেশ সামন্ত।  
* ছেলে ও স্ত্রীর নামে কোটি টাকার সম্পদ, ঢাকায় দুটি ফ্ল্যাট, কুমিল্লায় প্রাসাদসম বাড়ি।  
* দলীয় প্রভাব খাটিয়ে ভিসি পদে থেকে মানববন্ধন ও রাজনৈতিক দান করার অভিযোগ।

নিজস্ব প্রতিবেদক:   

পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (পবিপ্রবি)-এর সাবেক দুর্নীতিগ্রস্ত ভাইস- চ্যানসেলর প্রফেসর স্বদেশ চন্দ্র সামন্তর বিরুদ্ধে ঢাকা সিএমএম আদালতে মামলা হয়েছে। স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারকে টিকিয়ে রাখতে স্বদেশ  চন্দ্র সামন্তর পবিপ্রবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেন, এছাড়াও  ঢাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ নেতাদের ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়।  গত ৮ মার্চ মামলাটি করেন ঢাকা রামপুরা,বনশ্রী ব্লক বি,১নং রোডের বাসিন্দা মো: নেছার উদদীন। মামলা নং২২৪/২০২৫ ধারা:১৪৭/১৪৮/৩২৬/৩০৭/৫০৬/৩৪ দণ্ডবিধি।
উক্ত মামলায় স্বদেশ  চন্দ্র সামন্ত ছাড়াও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহেনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো:মাহবুব হোসেনসহ ২০৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।

উল্লেখ্য পবিপ্রবি'র সাবেক  দুর্নীতিগ্রস্ত ভিসি স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত ২০২১ থেকে ২০২৪ সালের ৪ আগস্ট পরযনত দায়িত্ব পালন করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতি বিশেষ করে নিয়োগ বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য করে ব্যাপক অর্থ ও বিত্ত বৈভবের মালিক হয়ে উঠেন। নিজ জেলা কুমিল্লায় ৪ তলা আলিশান প্রাসাদ নির্মাণ করছেন। যার আনুমানিক মূল্য ২কোটি টাকা। রাজধানী ঢাকায় রয়েছে স্ত্রী ও ছেলে শাওন চন্দ্র সামন্ত তনুর নামে ২ টি ফ্ল্যাট। বরিশালের কালীবাড়ি রোড এলাকায় রয়েছে বাড়ি। এছাড়া স্ত্রী ও ছেলের নামে কয়েকটি সরকারি ও প্রাইভেট ব্যাংকে ৪ কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। তিনি ভিসি থাকাকালীন সময়ে ২০২৪ সালের শুরুতে তার পুত্র শাওন চন্দ্র সামন্ত তনুসহ ৬ জনকে সেকশন অফিসার পদে  অবৈধভাবে নিয়োগ দেন স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত। উচ্চ আদালতের নির্দেশে শাওন চন্দ্র সামন্তসহ অবৈধভাবে নিয়োগ পাওয়া ৬ জনকে গত ২০ ফেব্রুয়ারি তারিখ সাময়িক বরখাস্ত করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এছাড়াও সাবেক দুর্নীতি পরায়ণ রেজিস্ট্রার ও বর্তমানে চাকুরিচ্যুত সন্তোষ কুমার বসু স্বদেশ সামন্তর স্ত্রীর যোগসাজশে ৩০ জন শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেন এতে স্বদেশ সামন্তর স্ত্রীর ৩ কোটি টাকা অবৈধ ভাবে নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন বলে অভিযোগ আছে।

অন্যদিকে রাজধানীর রামপুর থানার আরেকটি মামলায় অভিযুক্ত স্বদেশ চন্দ্র সামন্ত ও ছেলে শাওন সামন্ত তনু। যার মামলা নং-২৫৬।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত স্বদেশ সামন্তর মুঠোফোনে একাধিক বার যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।