বাংলাদেশি নাবিকদের ট্রানজিট ভিসা দিতে সম্মত হয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলী আব্দুল্লাহ খাসিফ আল হামুদি। তিনি বলেছেন, বাংলাদেশি নাবিকদের জন্য এখন থেকে সহজ উপায়ে ট্রানজিট ভিসা দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
রোববার সচিবালয়ে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌ উপদেষ্টার সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে গেলে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকালে নৌপরিবহণ এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন দুবাইয়ের ভিসা জটিলতা দূর করে ৯৬ ঘণ্টার জন্য ট্রানজিট ভিসা ইস্যুর আহ্বান জানান। তার এ অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএইর রাষ্ট্রদূত ভিসা দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানান।
রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্ধু রাষ্ট্র। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে পোশাক, কৃষিজাত পণ্য, নিটওয়্যারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে আসছে। এ ধারাবাহিকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আরও বৃহৎ পরিসরে নতুনভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বিশ্বাস করে, বাংলাদেশেও বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগের মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে।
রাষ্ট্রদূতের এ বিনিয়োগ প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়ে নৌ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সবসময় বিদেশি বিনিয়োগ স্বাগত জানায়। আমরা চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্য সব ক্ষেত্রেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগের আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানাই। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। বাংলাদেশের জন্য লাভজনক সব বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাবকে বর্তমান সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।
বাংলাদেশের পাট ও বস্ত্র শিল্পে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার পরিবেশের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য এক বিরাট হুমকি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারাবিশ্বেই পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা ক্রমশ বেড়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও বস্ত্র কলগুলোতেও বিদেশি বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি আশা করব সংযুক্ত আরব আমিরাতও বাংলাদেশের পাট ও বস্ত্র শিল্পে বিনিয়োগ করবে।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্বে) সঞ্জয় কুমার বণিক ও নৌপরিবহণ অধিদপ্তরে মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এগ্রো-প্রসেসরস’ অ্যাসোসিয়েশনের সাক্ষাৎ: একই দিন ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস’ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে।
উপদেষ্টা তাদের বলেন, সারা দেশে পাটের প্রচলন বাড়াতে হবে। আগামী মাস থেকে দেশের সুপারশপগুলোতে পাটের ব্যাগ চালুর কার্যক্রম নিয়েছে সরকার। এ মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে। আমি চাই, দেশের সবাইকে নিয়ে একযোগে এ কার্যক্রম সফল করতে। এতে দেশে পাটের অভ্যন্তরীণ ভোগ বাড়বে।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএনএম মঈনুল ইসলাম, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস’ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ হাশেম, সেক্রেটারি মো. ইকতাদুল হক, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার সচিবালয়ে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌ উপদেষ্টার সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) রাষ্ট্রদূতের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করতে গেলে এ বিষয়ে আলোচনা হয়।
সাক্ষাৎকালে নৌপরিবহণ এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন দুবাইয়ের ভিসা জটিলতা দূর করে ৯৬ ঘণ্টার জন্য ট্রানজিট ভিসা ইস্যুর আহ্বান জানান। তার এ অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে ইউএইর রাষ্ট্রদূত ভিসা দেওয়ার বিষয়ে সম্মতি জানান।
রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রাম বন্দরে সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বিনিয়োগ করার আগ্রহ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বন্ধু রাষ্ট্র। ব্যবসা-বাণিজ্যসহ দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন বিষয়ে উভয় দেশের মধ্যে গভীর সম্পর্ক বিদ্যমান। সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে পোশাক, কৃষিজাত পণ্য, নিটওয়্যারসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি করে আসছে। এ ধারাবাহিকতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে আরও বৃহৎ পরিসরে নতুনভাবে কাজ করতে আগ্রহী।
তিনি বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাত সরকার বিশ্বাস করে, বাংলাদেশেও বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগের মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে।
রাষ্ট্রদূতের এ বিনিয়োগ প্রস্তাবনাকে স্বাগত জানিয়ে নৌ উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশ সবসময় বিদেশি বিনিয়োগ স্বাগত জানায়। আমরা চট্টগ্রাম বন্দরসহ অন্য সব ক্ষেত্রেই সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিনিয়োগের আকাঙ্ক্ষাকে সাধুবাদ জানাই। আমি মনে করি, এর মাধ্যমে দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছবে। বাংলাদেশের জন্য লাভজনক সব বিদেশি বিনিয়োগ প্রস্তাবকে বর্তমান সরকার ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবে।
বাংলাদেশের পাট ও বস্ত্র শিল্পে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পলিথিন ও প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার পরিবেশের জন্য যেমন ক্ষতিকর, তেমনি মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য এক বিরাট হুমকি। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সারাবিশ্বেই পাটজাত দ্রব্যের চাহিদা ক্রমশ বেড়েছে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও বস্ত্র কলগুলোতেও বিদেশি বিনিয়োগ ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমি আশা করব সংযুক্ত আরব আমিরাতও বাংলাদেশের পাট ও বস্ত্র শিল্পে বিনিয়োগ করবে।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আব্দুর রউফ, নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সচিবের রুটিন দায়িত্বে) সঞ্জয় কুমার বণিক ও নৌপরিবহণ অধিদপ্তরে মহাপরিচালকসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এগ্রো-প্রসেসরস’ অ্যাসোসিয়েশনের সাক্ষাৎ: একই দিন ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস’ অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করে।
উপদেষ্টা তাদের বলেন, সারা দেশে পাটের প্রচলন বাড়াতে হবে। আগামী মাস থেকে দেশের সুপারশপগুলোতে পাটের ব্যাগ চালুর কার্যক্রম নিয়েছে সরকার। এ মন্ত্রণালয় সে লক্ষ্যে কাজ করছে। আমি চাই, দেশের সবাইকে নিয়ে একযোগে এ কার্যক্রম সফল করতে। এতে দেশে পাটের অভ্যন্তরীণ ভোগ বাড়বে।
এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এএনএম মঈনুল ইসলাম, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস’ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এমএ হাশেম, সেক্রেটারি মো. ইকতাদুল হক, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।