ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বগ্রহণের পর দুই মাসে প্রশাসনে ব্যাপক ‘শুদ্ধি অভিযান’ চালিয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত সচিব, অতিরিক্ত সচিব, বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর ও সংস্থার প্রধান, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক (ডিসি), উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ (ইউএনও) অনেক কর্মকর্তাকে পদ থেকে সরানো হয়েছে।
এর মধ্যে কাউকে বাধ্যতামূলক অবসর, কারো চুক্তি বাতিল এবং কাউকে বদলি করা হয়েছে। একইসঙ্গে এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অতীতে বঞ্চিতদের বিবেচনা করা হয়েছে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
শুরুতেই সরকারি বিভিন্ন উচ্চ পদে থাকা চুক্তিভিত্তিক সবার নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৪ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানসহ ১১ জন সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।
এ তালিকায় ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব (এসডিজি) মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম মিয়া, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন।
বিগত দুই মাসে পর্যায়ক্রমে আরও বহু সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর, সংস্থা প্রধানের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এসব পদে নতুন করে নিয়োগও দেওয়া হয়েছে।
ওএসডি ও বাধ্যতামূলক অবসর
সরকারের প্রথম দুই মাসে সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ বহু কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
সর্বশেষ গতকাল ৭ অক্টোবর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলমকে ওএসডি করা হয়। তার আগের দিন ৬ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানকে ওএসডি করা হয়।
গত ১৪ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
পুরাতনদের সরিয়ে নতুন ডিসি, পরে বিতর্ক
গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দুই দিনে দেশের ৫৯ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে ১০ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হট্টগোল করেন উপসচিব পর্যায়ের একদল কর্মকর্তা। নিয়োগ পাওয়া অধিকাংশ ডিসিদের নিয়ে আপত্তি জানান তারা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নিয়োগ পাওয়া ৫৯ জন ডিসির মধ্যে গত ১২ সেপ্টেম্বর ৯ জনের নিয়োগ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ৪ জেলার ডিসি পদে রদবদল আনা হয়।
ডিসি নিয়োগ ইস্যুতে সর্বশেষ অভিযোগ উঠেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের বিরুদ্ধে। এ সিনিয়র সচিবের সঙ্গে এক যুগ্ম সচিবের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনে উঠে আসে ডিসি নিয়োগ নিয়ে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের। বিষয়টি এখন তদন্তাধীন রয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে সচিবালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে পদোন্নতি থেকে ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তৎপরতা বাড়ে। প্রায় প্রতিদিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সচিবালয়ের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হন তারা। এ রকম প্রেক্ষাপটে ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তাদের পদোন্নতির উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
বঞ্চিতদের দাবি আমলে নিয়ে গত ১৩ আগস্ট বিভিন্ন ব্যাচের ১১৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এরপর ১৮ আগস্ট ২০১ কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এর দুই দিন পর ২০ আগস্ট আরও ২২ কর্মকর্তাকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার।
আবার ১৩১ জন যুগ্মসচিবকে গত ১৫ আগস্ট অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার। এদের মধ্যে নবম বিসিএস থেকে ১৮তম বিসিএসের বঞ্চিত কর্মকর্তারা রয়েছেন।
অন্যদিকে, অবসরে যাওয়া পাঁচজন অতিরিক্ত সচিবকে গত ১৭ আগস্ট চুক্তির ভিত্তিতে সচিব করা হয়। তার মধ্যে শেখ আবদুর রশিদকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, মো. এহছানুল হককে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে জননিরাপত্তা বিভাগ, নাসিমুল গনিকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জন বিভাগ এবং এম এ আকমল হোসেন আজাদকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীকে সরিয়ে তার পরিবর্তে মো. মোখলেসুর রহমানকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।
এছাড়া চুক্তিতে আরও অনেকে সচিবসহ নানা পদে স্থান পেয়েছেন।
এর মধ্যে কাউকে বাধ্যতামূলক অবসর, কারো চুক্তি বাতিল এবং কাউকে বদলি করা হয়েছে। একইসঙ্গে এসব পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে অতীতে বঞ্চিতদের বিবেচনা করা হয়েছে।
চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল
শুরুতেই সরকারি বিভিন্ন উচ্চ পদে থাকা চুক্তিভিত্তিক সবার নিয়োগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গত ১৪ আগস্ট জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানসহ ১১ জন সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করা হয়।
এ তালিকায় ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব (এসডিজি) মো. আখতার হোসেন, বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) চেয়ারম্যান লোকমান হোসেন মিয়া, জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম মিয়া, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব সত্যজিৎ কর্মকার, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোকাম্মেল হোসেন।
বিগত দুই মাসে পর্যায়ক্রমে আরও বহু সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও বিভিন্ন দপ্তর, অধিদপ্তর, সংস্থা প্রধানের চুক্তি বাতিল করা হয়েছে। এসব পদে নতুন করে নিয়োগও দেওয়া হয়েছে।
ওএসডি ও বাধ্যতামূলক অবসর
সরকারের প্রথম দুই মাসে সচিব, অতিরিক্ত সচিবসহ বহু কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। এছাড়া কয়েকজনকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। তারা সবাই আওয়ামী লীগ সরকারের আস্থাভাজন হিসেবে পরিচিত ছিলেন।
সর্বশেষ গতকাল ৭ অক্টোবর জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলমকে ওএসডি করা হয়। তার আগের দিন ৬ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামানকে ওএসডি করা হয়।
গত ১৪ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব জাহাঙ্গীর আলমকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
পুরাতনদের সরিয়ে নতুন ডিসি, পরে বিতর্ক
গত ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর দুই দিনে দেশের ৫৯ জেলায় নতুন ডিসি নিয়োগ দেওয়া হয়। এ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে বঞ্চিত হওয়ার অভিযোগ তুলে ১০ সেপ্টেম্বর সচিবালয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে হট্টগোল করেন উপসচিব পর্যায়ের একদল কর্মকর্তা। নিয়োগ পাওয়া অধিকাংশ ডিসিদের নিয়ে আপত্তি জানান তারা।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নতুন নিয়োগ পাওয়া ৫৯ জন ডিসির মধ্যে গত ১২ সেপ্টেম্বর ৯ জনের নিয়োগ বাতিল করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে ৪ জেলার ডিসি পদে রদবদল আনা হয়।
ডিসি নিয়োগ ইস্যুতে সর্বশেষ অভিযোগ উঠেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের বিরুদ্ধে। এ সিনিয়র সচিবের সঙ্গে এক যুগ্ম সচিবের হোয়াটসঅ্যাপের কথোপকথনে উঠে আসে ডিসি নিয়োগ নিয়ে বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের। বিষয়টি এখন তদন্তাধীন রয়েছে।
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের পর থেকে সচিবালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে পদোন্নতি থেকে ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের তৎপরতা বাড়ে। প্রায় প্রতিদিন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সহ সচিবালয়ের বিভিন্ন স্থানে জড়ো হন তারা। এ রকম প্রেক্ষাপটে ‘বঞ্চিত’ কর্মকর্তাদের পদোন্নতির উদ্যোগ নেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
বঞ্চিতদের দাবি আমলে নিয়ে গত ১৩ আগস্ট বিভিন্ন ব্যাচের ১১৭ জন সিনিয়র সহকারী সচিবকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এরপর ১৮ আগস্ট ২০১ কর্মকর্তাকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। এর দুই দিন পর ২০ আগস্ট আরও ২২ কর্মকর্তাকে যুগ্মসচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার।
আবার ১৩১ জন যুগ্মসচিবকে গত ১৫ আগস্ট অতিরিক্ত সচিব পদে পদোন্নতি দেয় সরকার। এদের মধ্যে নবম বিসিএস থেকে ১৮তম বিসিএসের বঞ্চিত কর্মকর্তারা রয়েছেন।
অন্যদিকে, অবসরে যাওয়া পাঁচজন অতিরিক্ত সচিবকে গত ১৭ আগস্ট চুক্তির ভিত্তিতে সচিব করা হয়। তার মধ্যে শেখ আবদুর রশিদকে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব, মো. এহছানুল হককে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, মোহাম্মদ আবদুল মোমেনকে জননিরাপত্তা বিভাগ, নাসিমুল গনিকে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের জন বিভাগ এবং এম এ আকমল হোসেন আজাদকে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব করা হয়েছে।
গত ২৮ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরীকে সরিয়ে তার পরিবর্তে মো. মোখলেসুর রহমানকে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়।
এছাড়া চুক্তিতে আরও অনেকে সচিবসহ নানা পদে স্থান পেয়েছেন।