
বিশেষ প্রতিনিধি
জুলাই ’২৪-এর গণহত্যায় সহায়কারী হিসেবে চিহ্নিত বা মামলায় নাম থাকা গণপূর্ত কর্মকর্তাদের বিচার দাবিতে গতকাল গণপূর্ত অধিদপ্তরের সামনে মানববন্ধন করে ’জুলাই যোদ্ধা ও সচেতন জনতা নামের একটি সংগঠন। মানববন্ধন থেকে গণপূর্ত বিভাগের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার ও কয়েকজন নির্বাহী প্রকৌশলীসহ প্রায় অর্ধশত কর্মকর্তার পদত্যাগ ও তাদের শাস্তির দাবি জানানো হয়। জুলাইÑ ’২৪ এর গণহত্যায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে চিহ্নিত কর্মকর্তারা ভূমিকা রেখেছে এবং গণহত্যায় অর্থ ঢেলেছে বলে দাবি করা হয়।
জুলাই যোদ্ধা ও সচেতন জনতার পক্ষ থেকে বলা হয়, ফাসিস্ট হাসিনা সরকারের বিরুদ্ধে আমরাই আন্দোলন করে ৫ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে রাষ্ট্র ক্ষমতা থেকে হটিয়ে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছি। আমাদের আন্দোলনের ফলে ফাসিস্ট হাসিনা ভারতে পালিয়ে গিয়েছে। হাসিনার দোসররা তখন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগকে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করে অনেক নিরীহ ছাত্রদের হত্যার সহযোগিতা করেছে।
তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেমানব বন্ধন থেকে যাদেও নাম বলা হয় তারা হচ্ছে, প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতার, নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুজ্জামান চুন্নু, মাসুদ রানা ও আতিকুল ইসলাম, আবু সুফিয়ানসহ অনেকে। এসব কর্মকর্তাদের অনেকেই ছাত্র জনতাকে হত্যার উদ্দ্যেশে আর্থিক সহযোগিতা করার বিভিন্ন মামলার আসামি হয়ে এখনো বহাল তবিয়তে আছে। তাদের বিরুদ্ধে মামলা গুলো হচ্ছে সি আর ১২১৮/২৪ যা বর্তমানে পি.বি.আইতে তদন্তাধীন অবস্থায় আছে।
সি আর ২২৪/২৫ রামপুরা থানা পি.বি.আই এর তদন্ত অবস্থায় আছে। সি.আর ৬৩-২৫ বাড্ডা থানায় এফ আই আর হিসেবে অন্তভুক্ত। সি.আর ৭৯৮/২৪ যাত্রাবাড়ী পি.বি.আই তদন্তাধীন অবস্থায় আছে। সি আর ১২৬৫/২৪ আগুলীয়া থানায় এফ আই আর অবস্থায় আছে। এতোগুলো মামলা থাকা সত্যেও প্রধান প্রকৌশলীসহ অন্যান্য আসামিরা বহাল তবিয়তে থেকে এখনো ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার আর্শিবাদপুষ্টদের নানাভাবে কাজ ও আর্থিক জোগান দিয়ে যাচ্ছে।
যা জুলাই গণঅভ্যুত্থ্যানের সঙ্গে সরাসরি বেঈমানীর সামিল। বলা হয় এসব কর্মকর্তারা ফ্যাসিস্ট সরকারের পুরো সময় জুড়ে শত শতকোটি চুরি ও লুটপাট করে নিজেরা সম্পদেও পাহাড় গড়েছে।এর একটা বড় অংশ বিদেশে পাচার করেছে।
কিসের ভিত্তিতে জুলাই আন্দোলনে ফ্যসিস্ট এর চিহ্নিত দোসর হওয়ার পরও প্রধান প্রকৌশলী একই স্থানে বিগত পাঁচ বছর যাবৎ পদ আকড়ে আছে সে প্রশ্নও করা হয়। এখনো প্রধান প্রকৌশলীসহ অন্যান্য ফ্যাসিস্ট দোসর প্রকৌশলীরা আওয়ামী লীগের ঠিকাদারদের বিভিন্ন কাজ ও বড় বড় প্রকল্প পেতে সহযোগিতা করে চলেছে। যা কোনোভাবেই চলতে পারে না। আমরা জুলাই যোদ্ধা ও সচেতন নাগরিক উক্ত অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিচার ও পদত্যাগ দাবি করছি। অনতিবিলম্বে যদি গ্রেপ্তার করা না হয় তাহলে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হবে।