
বুধবার দুদকের সমন্বিত বরিশাল জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটির উপপরিচালক এদীপ বিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন বলে কমিশনের উপ পরিচালক (জনসংযোগ) মুহাম্মদ আরিফ সাদেক জানিয়েছেন। মামলায় নজরুল ইসলামকে প্রধান আসামি করার পাশাপাশি তার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন ও নজরুল ইসলামের ভাই মো. তরিকুল ইসলামকে অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহযোগিতার করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বেশ কয়েকটি ব্যাংকে হিসাব খুলে টাকা জমা রাখা এবং বরিশাল সদরে এই প্রকৌশলীর নিজের নামে একটি বাড়ি এবং স্ত্রীর নামে বরিশাল সদরে ৮ দশমিক ৩৫ শতাংশ জমির তথ্য-প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
অন্যদিকে ২০১৯ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি নজরুল ইসলামের ভাই তরিকুল ইসলামের নামে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের বরিশাল শাখায় আরও একটি হিসাব খোলা হয়।
এ হিসাবেও ২০২০ সালের ৭ জুলাই পর্যন্ত ছয় কোটি এক লাখ টাকা লেনদেন হয়। এছাড়া একই ব্যাংকের বরিশাল শাখায় নজরুল ইসলামের এফডিআর হিসাবে জমা করা ৩৪ লাখ ৭৩ হাজার টাকা উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া যায় বলে এজাহারে বলা হয়।
এছাড়া ওই ব্যাংকে শাহনাজ পারভীনের নামে এফডিআরসহ পাঁচটি হিসাব পাওয়া গেছে।
অপরদিকে বরিশালের পূবালী ব্যাংক শাখায় ২০১৮ সালে উপ সহকারী প্রকৌশলী নজরুল আরও একটি হিসাব খোলেন। এতে ১০ লাখ টাকা জমা করে তার ভাইয়ের মাধ্যমে উত্তোলন করান।
এভাবে নজরুল ইসলাম, তার স্ত্রী ও ভাইয়ের ব্যাংক হিসাবে মোট ২১ কোটি এক লাখ টাকা জমা ও উত্তোলনের সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া যায় উল্লেখ করে এজাহারে বলা হয়, এসব অর্থের কোনো বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।
মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর ৪ (২) ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ২০০৪ এর ২৭ (১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে