আলোচিত এই বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতন ঘটে। এরপর কয়েকদিন আগে শিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতির নাম প্রকাশ্যে আসার পর শুরু হয় নানা আলোচনা।
আলোচিত এই বিষয়টি নিয়ে এবার মুখ খুলেছেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম। সরকার পতন আন্দোলনে নিজেদের কৌশলের বিষয়টি স্বীকারও করেন তিনি।
বুধবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া স্ট্যাটাসে আন্দোলন ইস্যুতে নানা আলোচনা-সমালোচনার জবাব দেন ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি জেনারেল জাহিদুল ইসলাম।
ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি বলেন, ছাত্রশিবির কিছু কৌশল অবলম্বন করেছে। যেখানে ছাত্র-জনতা এক হয়ে প্রিয় বাংলাদেশকে ফ্যাসিবাদ মুক্ত করেছে। প্রতিটি চিন্তা, সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সবাই এক হয়ে কাজ করেছে। ফলে আলহামদুলিল্লাহ প্রায় ১৫ বছরের স্বৈরাচারী জুলুম থেকে জাতির প্রাথমিক মুক্তি মিলেছে।'
ঐক্যবদ্ধভাবে দেশ গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে জাহিদুল ইসলাম বলেন, সরকার পতন আন্দোলনে ছাত্রশিবির যেমন কৌশলী ভূমিকা পালন করেছে, আমরা সকল ব্যক্তি, দল ও মতের নিকট আহ্বান করছি, আপনারাও এমন শত কৌশল করে এই দেশটাকে ভালো কিছু দিন। আমরা আপনাদের পাশে থাকবো ইনশাআল্লাহ।
এর আগে এক সমাবেশে শিবির সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে আমরা যখন শামিল হয়েছিলাম, আমাদের কোনো দলীয় পরিচয় ছিল না। সেদিন আমাদের কোনো ব্যক্তিপরিচয় ছিল না। সেদিন মত, ধর্ম, বর্ণের কোনো পরিচয় ছিল না। অন্য ধর্মের কেউ আহত হলে সবাই হাসপাতালে নিয়ে গেছে, এরকম অসংখ্য নজির রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এই আন্দোলনে ইসলামী ছাত্রশিবির একক কোনো কৃতিত্ব ও অবদান কখনো দাবি করেনি, করবেও না। আমরা মনে করি এই আন্দোলন সবার। এই আন্দোলন কোনো একক ব্যক্তির মাস্টারমাইন্ডে হয়নি। এই আন্দোলনে অসংখ্য মাস্টারমাইন্ড রয়েছে। অসংখ্য শহীদ রয়েছেন। সবাই মিলে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ প্লাটফর্মের মধ্যে দিয়ে এই সমাজ থেকে ফ্যাসিজমের উৎখাতের নব সূচনা সৃষ্টি করেছি।