ঢাকা , রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাবনা সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন যাবৎ দালাল সিন্ডিকেট ভয়াবহ রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছিলো।

যৌথ বাহিনীর অভিযানে পাবনা সদর হাসপাতাল থেকে দালাল গ্রেফতার ও ম্যাজিস্ট্রেট কতৃক দুইটি ক্লিনিকে অর্থ জরিমানা ও কারাদণ্ড

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১৩-১১-২০২৪ ০৭:৩০:০২ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১৩-১১-২০২৪ ০৭:৩০:০২ অপরাহ্ন
যৌথ বাহিনীর অভিযানে পাবনা সদর হাসপাতাল থেকে দালাল গ্রেফতার ও ম্যাজিস্ট্রেট কতৃক দুইটি ক্লিনিকে অর্থ জরিমানা ও কারাদণ্ড
পাবনা সদর হাসপাতালে দীর্ঘদিন যাবৎ দালাল সিন্ডিকেট ভয়াবহ রাজত্ব চালিয়ে যাচ্ছিলো। সাধারন মানুষের ভোগান্তি চরম পর্যায়ে পৌছে ছিলো। হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও স্টাফরাও জিম্মি হয়ে পরেছিলো। ব্যহত হচ্ছিলো চিকিৎসার স্বাভাবিক সেবা প্রদান। এ নিয়ে ডাক্তার, নার্স ও স্টাফরা প্রতিবাদ জানিয়ে হাসপাতাল সম্মুখে মানববন্ধন করে। ডিটেক্টিভ স্পেশাল ব্রাঞ্চ (ডিএসবি)'র নজরদারিতে ১১ নভেম্বর ২০২৪ সোমবার  ১২ঃ১৫ ঘটিকায় শালগাড়িয়া এলাকা হতে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের দালাল সাদ্দাম হোসেন(৩২), পিতা- কুদ্দুস, সাং- শালগাড়িয়া,পাবনা সদর,পাবনা কে আটক করা হয়।
এ বিষয়ে ডিএসবির দায়িত্বপ্রাপ্ত এএসপি রেজিনুর জানান ডিএসবি সার্বক্ষনিক নজরদারিতে রেখে সকল সংবাদ সবার আগে সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রদান করে তার সঠিক ব্যবস্থা নিতে সর্বোচ্চ তাগিদ দিচ্ছি আমরা।  কোন স্বজনপ্রীতি বা লেনদেন এমনকি অবহেলা বরদাশত করা হবে না।

এদিকে ৭ নভেম্বর বৃহস্পতিবার পাবনার দুইটি বেসরকারি ক্লিনিকে অভিযান পরিচালনা করে  ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অর্থ জরিমানা ও কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিষ্টেট চৌধুরী আল-মাহমুদ। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা (এনএসআই) পাবনার তথ্য ভিত্তিতে এ অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানে পাবনার রোগ মুক্তি ক্লিনিক কে নিবন্ধন না থাকায় (দীর্ঘদিন রিনিউ নাই) পাঁচ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও উক্ত ক্লিনিক সিলগালা করা হয়।
মধুপুর জেনারেল হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করে নিবন্ধন না থাকায় প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শফিকুল ইসলাম কে ১৫ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করেন নির্বাহী ম্যাজিট্রেট।

অভিযান পরিচালনাকালে উল্লেখিত ক্লিনিক দুটিতে প্রয়োজনীয়  চিকিৎসার যন্ত্রপাতি,  চিকিৎসক, সেবিকা ও স্টাফ পাওয়া যায় নি। সেইসাথে স্থানীয়দের অভিযোগ এসব ক্লিনিকে চিকিৎসা সাইনবোর্ড ব্যবহার করে পতিতাবৃত্তি করা হয় এবং মাদকসেবিদের আনাগোনা দেখা যায়।
এসময় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য,  প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ, সামাজিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তারুণ্যের অগ্রযাত্রা  ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় প্রধান সমন্বয়ক জুবায়ের খান প্রিন্স, ছাত্র ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
মাদক ও সন্ত্রাস দমনে ব্যবস্থা নিতে ডিটেকটিভ ব্রাঞ্চ (ডিবি) অফিসার ইনচার্জ হাসান বাশির এর বক্তব্য জানতে চাইলে তিনি বলেন:  এনএসআই, ডিএসবি ও সাংবাদিকদের পাশাপাশি আমাদের নিজস্ব সোর্সের মাধ্যমেও আমরা প্রচুর ইনপরমেশন পাচ্ছি এবং লিখিত অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে আমরা সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে আমরা নিয়োমিতো ভাবে দায়িত্ব পালন করছি । আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যায়ক্রমে অনেকটা ভালোর দিকে। এদিকে সদর থানা অফিসার ইনচার্জ আ: সালাম বলেন: পুলিশ কিছুদিন কিছুটা ধীরস্থির থাকলেও এখন পুরোদমে কাজ করছে সবক্ষেত্রে। আমরাও সার্বক্ষনিক প্রস্তুত আছি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রেখে সুস্থ পরিবেশ তৈরী করতে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ