আশুলিয়ায় গার্মেন্টস কর্মীকে গুলিবিদ্ধের ঘটনায় সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর উপদেষ্টা মো. আমানুল্লাহ এর বিরুদ্ধে বের হয়েছে গ্রেফতারি পরোয়ানা। 

গত পাঁচ ই আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগের দাবিতে রাজধানীর আশুলিয়ায় বিক্ষোভ মিছিল করার সময় পুলিশ ও আওয়ামী লীগ,যুবলীগ,ছাত্রলীগ,স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ একটি মুখোশবাহী পালিত গুন্ডাবাহিনী গুলি দ্বারা নিহত ও আহত হন বেশকিছু সাধারণ মানুষ।
এই নিয়ে গত ১ই অক্টোবর ২০২৪ মঙ্গলবার আশুলিয়া বিজ্ঞ আদালতে এক মামলা দায়ের করা হয়।  যাহা  সি.আর, মামলা নং - ১৩১৬/২০২৪ (আশুলিয়া)। ধারা ১৪৩/১৪৭/১৪৮/৩২৬/৩০৭/৩২৫/৪৩৫/২০১ ৩৪ যা দণ্ডনীয় ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এই ঘটনায় আসামিদের গ্রেফতারের নির্দেশ দেন।

আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য এবং এগুলোর পিছনে মাস্টারমাইন্ড মুখোশধারী সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর উপদেষ্টা মো. আমানুল্লাহ সূত্রে জানা যায়।এই নির্বাহী প্রকৌশলী পিছনে থেকে তাহার একদল গুন্ডাবাহিনী পরিচালনা করে থাকেন। এই বিষয় নিয়ে গুলিবিদ্ধ জাফের আলী সরদার গণমাধ্যম কর্মীদের এই তথ্য প্রকাশ করেন। জাফের আলী সরদার নওগাঁর আত্রাই থানার কসবা এলাকার জাহেদ সরদারের ছেলে। জাফের আলী বলেন, আমার উপর এই বর্বর হামলার সুষ্ঠু বিচার ও অপরাধীদের শাস্তি চাই।
এই বিষয়ে গণমাধ্যম কর্মী, সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর উপদেষ্টা মো. আমানুল্লাহর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করেন এবং বলেন আমার এখন ঢাকার ভাইরে পোস্টিং এই বিষয়ে আমি কিছু জানি না। তাকে একাধিকবার মুঠোফোন কল দেওয়ার পরও উনি কোন বিষয় এ সাক্ষাৎ দিতে রাজি হননি।
সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর উপদেষ্টা মো. আমানুল্লাহর বিরুদ্ধে আগেও অনেক অভিযোগ রয়েছে শত শত কোটি টাকা সম্পদ ও নগদ অর্থ নেয়ার। রয়েছে একই কাজে দুই মন্ত্রণালয় থেকে পৃথক পৃথক বরাদ্দ এনে সমুদয় টাকা আত্মশতের অভিযোগ গণপূর্ত অধিদপ্তরের মহাখালী বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ও সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর উপদেষ্টা মো. আমানুল্লাহ বিরুদ্ধে।  ৩৩ টিরও বেশি কাজ দেখিয়ে কাজ না করে সরকারি বরাদ্দের কোটি কোটি টাকা তুলে নেওয়া ও  ঠিকাদারদের সাথে ভাগাভাগি করার অভিযোগ্য ও রয়েছে। এই নিয়ে অনেকবার উনার সাক্ষাত নেওয়ার চেষ্টা করলেও কোন ধরনের সাক্ষাত দিতে রাজি হননি সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর উপদেষ্টা মো. আমানুল্লাহ। আরো জানা যায় সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রীর উপদেষ্টা মো. আমানুল্লাহ নিজ গ্রামে  ডুপ্লেক্স বাড়ি সহ বিঘা বিঘা জমির মালিক। এবং সাথে আরো জানা যায় উনি নিজের বাবা,মা,ভাই,বোনের নামে অনেক সম্পদ করে রেখেছেন। নামে বে নাম সহ রয়েছে শ্বশুর বাড়ির আত্মীয়স্বজনের নামে অনেক সম্পদ। এছাড়াও রয়েছে ঢাকা রেসিডেন্সিয়াল এলাকা গুলোতে রয়েছে ফ্ল্যাট ৮ থেকে ১০ টি।