তানভিরের ফাঁদে কলেজ-ভার্সিটির মেয়েরা, তাদের দিয়েই চলছে অবৈধ্য দেহ ব্যবসা
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
২০-১১-২০২৪ ১২:৫৪:২৪ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
২০-১১-২০২৪ ১২:৫৪:২৪ পূর্বাহ্ন
তানভিরের ফাঁদে কলেজ-ভার্সিটির মেয়েরা,
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা: তানভিরের নতুন নতুন কৌশেলের ফাঁদে পরে কলেজ-ইউনিভার্সিটির অসহায় নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েরা সর্বস্ব হরিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে। এই চক্রে তানভিরের সহযোগী হিসেবে রয়েছে ইবরাহিম ও সবুজসহ আরো কয়েকজন সদস্য। এই অসহায় মেয়েদের দিয়েই তানভির তার স্পা সেন্টারে ইবরাহিম ও সবুজের সহযোগীতায় চালাচ্ছে অবৈধ্য দেহ ও মাদক ব্যবসা। কোনো ভাবেই থামছে না তানভিরের এই দেহ ও মাদক ব্যবসা।
তরভিরের রয়েছে গুলশান ৫৫ নম্বর বাড়ীতে হোটেলের আদলে করা স্পা সেন্টার। যেখানে চলে সুন্দরি রমনিদের দিয়ে দেহ ব্যবসা ও অবাদে চলে মাদক সেবন।
গুলশান সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, অধিকাংশ হোটেল, বিউটি পার্লার ও ম্যাস্যাজ সেন্টার গুলোতে নামে হোটেল-বিউটি পার্লার হলেও এর আড়ালে চলে রমরমা দেহ ব্যবসা। আর এইসব হোটেল, বিউটি পার্লার ও ম্যাস্যাজ সেন্টার গুলোতে বেশিরভাগই কাজ করে নারীকর্মী। তারা পুরুষদের শরীর ম্যাসাজ, দেহ ও মদসহ অনৈতিক কাজে জড়িত বলে যানা যায়। গুলশান দুই এর ৫৫ নম্বর বাড়িতে হোটেলের নাম উল্লেখ থাকলেও যেখানে অনৈতিক কাজ হয়ে থাকে। সেখানে থাইল্যান্ড এর নাগরিকসহ বিভিন্ন দেশ-বিদেশের নাগরিকরাও জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে বহুদিনের।
যেহেতু ২০১৪ সালের ১৯ নভেম্বর জাতীয় সংসদে বাংলাদেশ হোটেল ও রেস্তোরাঁ বিল-২০১৪ সংশোধিত আকারে পাস হয়। সেখানে বলা হয়েছে অনৈতিক কোনো কাজ করা যাবে না।
তানভির সম্পর্কে খুজ নিয়ে জানাযায়, তিনি দীর্ঘ দিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়ায় তিনি আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সাথে তার উঠাবসা এবং আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের মনরঞ্জণ করার জন্য তিনি তার প্রতিষ্ঠানের রমনিদের ব্যবহার করতেন। তিনি গোপালগঞ্জের প্রভাব খাটিয়ে প্রসাশন ম্যানেজ করে দীর্ঘ দিন এই অবৈধ্য ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে।
অন্যদিকে তার এই ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে আরো ৫-৭ জনের নাম। তাদের মধ্যে সহযোগী ইবরাহিম সম্পর্কে জানাযায়, তিনি আড়ালে থেকে এই অবৈধ্য ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। তার ছত্রছায়ায় এই ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন তানভির। এই তানভিরের আরেক সহযোগী সবুজ তাকে নারী সাপ্লাই দিয়ে সহযোগীতা করে আসছেন। আমাদের অনুসন্ধানে তানভিরের আরো কয়েকজন সহযোগীর নাম পাওয়া গেছে। তাদের খুব শীগ্রই মুখশ উন্মচন করা হবে।
ভবনগুলোর নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, সকালে প্রতিষ্ঠান খোলা হলেই সুন্দরী মেয়েরা ভিতরে প্রবেশ করে। আরা সারাদিন এইসব প্রতিষ্ঠানে পুরুষ আসা-যাওয়া করে। ভিতরে তাদের কি কাজ হয় তা আমরা জানি না।
অভিযুক্ত প্রতিষ্ঠানের এক কর্মকতার জানান, আমরা এই প্রতিষ্ঠান চালাই পুলিশের সহযোগিতায়। আমরা পুলিশ-সিটি কর্পোরেশনের কর্তাদের মাসিক টাকা দিয়ে ব্যবসা করি। আমাদের কিছু করতে পারবে না।
এই বিষয়ে তানভিরের সাথে মোঠফোন বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার ফোন ব্যস্ত পাওয়া যায়।
এই বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেন, তারা আমাদের কাছে থেকে হোটেল এর ট্রেড লাইন্সেস নিয়েছে। আমরা তাদের লিমিটেড কম্পানি দেখি ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু করি। তারা বৈধ্য লাইসেন্স নিয়ে অপরাধ মূলক কাজ করে আসছে। আমরা এই বিষয়ে জানতাম না। এখন জেনেছি আমরা কিছুদিনের মধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো এবং ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করবো।
এই বিষয়ে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিওয়া হবে।
নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload
কমেন্ট বক্স