বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের নেতা হচ্ছেন রূপালী ব্যাংকের এমডি
বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের নেতা হচ্ছেন রূপালী ব্যাংকের এমডি!
ডেস্ক রিপোর্ট
আপলোড সময় :
২৭-১১-২০২৪ ০৬:০৮:৩৮ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
২৭-১১-২০২৪ ০৬:০৮:৩৮ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রাষ্ট্রায়ত্ব রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) নিয়োগ নিয়ে চলছে তুঘলকি কাণ্ড। কিছুদিন আগে এমডি নিয়োগ পদে নিয়োগ দেওয়া হয় মো. আব্দুর রহিমকে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে দুটি কবিতা লেখার অভিযোগে তার নিয়োগ বাতিল হয়।
শুধু কবিতা লিখে ব্যাংকটির এমডি পদ থেকে বাদ পড়েছেন আব্দুর রহিম। কিন্তু তার স্থলে যিনি আসছেন তিনি বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের প্রভাবশালী নেতা প্রকৌশলী কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম। চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন তাকে রূপালী ব্যাংকের এমডি নিযুক্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
জানা গেছে, কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম ২০২১ সালে ১১ জানুয়ারি থেকে রূপালী ব্যাংক শাখার বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের কমিটিতে সিনিয়র সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালন করছেন। তার কমিটির সভাপতি প্রকৌশলী শচীন্দ্র নাথ সমাদ্দার। আর সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী তালুকদার মো. সুলতান মাহমুদ (রুম্মান)।
গত ২১ অক্টোবর সোনাল, রূপালী, অগ্রণী, জনতা ও বেসিক ব্যাংকসহ ৫টি ব্যাংকের এমডি নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হয়। তবে আটকে দেয়া হয় রূপালী ব্যাংকের এমডির নিয়োগ। আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে অভিযোগ তোলা হয়, রূপালী ব্যাংকের এমডি পদের জন্য প্রধান উপদেষ্টার অনুমোদন পাওয়া মো. আব্দুর রহিম কবিতা লিখেছেন শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাকে নিয়ে। তাই তার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন হয়নি। আব্দুর রহিম বর্তমানে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের (রাকাব) উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে কর্মরত।
আব্দুর রহিমের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ে উল্লেখিত দুটি কবিতা ‘নিঃশেষে সৃষ্টি’ ও ‘বৃক্ষের শিক্ষা’ পুঙ্খানুপুঙ্খ পড়া হয়। এই কবিতায় শেখ হাসিনা কিংবা শেখ মুজিবুর রহমানের কথা সরাসরি কিংবা রূপক অর্থেও পাওয়া যায়নি। একটি কবিতা গাছ নিয়ে লেখা, অন্যটি সময় নিয়ে লিখেছেন তিনি। কিন্তু কবিতা দুটি ‘মাসিক জনপ্রশাসন’ নামের যে সাময়িকীতে ছাপা হয়েছে সেখানকার পৃষ্ঠা-সজ্জায় শেখ হাসিনা ও শেখ মুজিবুর রহমানের ছবির অলঙ্করণ রয়েছে।
প্রসঙ্গত, শেখ হাসিনা সরকারের সময় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পাওয়া রাষ্ট্রায়ত্ত বাণিজ্যিক ব্যাংকের এমডিদের চুক্তির বাকি মেয়াদ বাতিল করতে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ব্যাংকগুলোর চেয়ারম্যানদের নির্দেশ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। তারপর ব্যাংকগুলোর এমডি ও সিইও পদ শূন্য হয়।
এরপর রাষ্ট্র মালিকানাধীন ছয়টি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও চারটি বিশেষায়িত ব্যাংক মিলিয়ে ১০টি ব্যাংকে নতুন এমডি ও সিইও নিয়োগের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জনের নাম চূড়ান্ত করে সুপারিশ পাঠায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এই সুপারিশ গত ১৬ অক্টোবর অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ এবং ২০ অক্টোবর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস অনুমোদন করেন। চূড়ান্ত তালিকায় মো. আব্দুর রহিমের নামও ছিল।
নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload
কমেন্ট বক্স