ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ , ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বোরহানউদ্দিনে তরুণ দলের নেতার দোকানপাট ভাঙচুর ও নগদ অর্থ লুটের অভিযোগ

বোরহানউদ্দিনে তরুণ দলের নেতার দোকানপাট ভাঙচুর ও নগদ অর্থ লুটের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ২৭-১১-২০২৪ ০৬:৩২:০৪ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ২৭-১১-২০২৪ ০৬:৩২:০৪ অপরাহ্ন
বোরহানউদ্দিনে তরুণ দলের নেতার দোকানপাট ভাঙচুর ও নগদ অর্থ লুটের অভিযোগ
ভোলার বোরহানউদ্দিনের পক্ষিয়া ইউনিয়নে বিএনপি নেতা মোঃ জসিম উদ্দিন,মোঃ ইদ্রিস মিয়া,যুবদল নেতা মোঃ মিজান,তৈয়ব,সবুজ,আকবর এর বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীর দোকানপাট - ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগ উঠেছে,এই অভিযোগ করেন পক্ষিয়া ইউনিয়ন তরুণ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও বোরহানগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী ইউসুফ নামে এক ব্যক্তি। বুধবার (২৭ নভেম্বর ২০২৪) সন্ধ্যা আনুমানিক ৭ টার দিকে পক্ষিয়া ইউনিয়ন বিএনপি নেতা জসিম মাতাব্বর,মো. ইদ্রিস মিয়া,যুবদল নেতা মোহাম্মদ মিজান,মোসলে উদ্দিন কাজী, আকবর এর নামে দোকানপাট-ভাঙচুর ও লুটের অভিযোগ করেন তিনি। অভিযোগ করে মো. ইউসুফ বলেন- আমি পক্ষিয়া ৭ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা, আমি পক্ষিয়া ইউনিয়নের তরুণ দলের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে আছি। পক্ষিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ছাঁদের উপর থাকা আমার তরুণ দলের পোস্টার নামিয়ে ফেলে দেয়, আমার ছবি সহ পোস্টার নামানোর কারণ জানতে ইদ্রিস মিয়ার ছেলে মিজান ও সুজনকে জিজ্ঞেস করলে আমাকে হুমকি দেন,যাতে পরবর্তী সময় আর পোস্টার না লাগাই। আমি ২০১২ সাল থেকে বিএনপির রাজনীতির করি, বিএনপি করার কারণে পক্ষিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নাগর হাওলাদার তার গুন্ডা বাহিনী দিয়ে আমাকে উঠিয়ে নিয়ে অর্জুন তলায় গাছের সাথে বেঁধে আমার উপর নির্যাতন চালায়। আমার বিরুদ্ধে নাগর হাওলাদার ১৩ লাখ টাকা পাবে বলে মামলা দায়ের করে এছাড়াও আমার ছেলেকেও মারধর করে আওয়ামী লীগের গুন্ডা বাহিনী। তিনি আরো বলেন- ২০১২ সালের আগে প্রবাসে ছিলাম, সেই সময় থেকে বিএনপিকে সমর্থন করতাম। মূলবিষয় পোস্টার লাগানো না, জসিম মাতাব্বর ও ইদ্রিস মিয়া এদের নেতৃত্বে যুবদল ও ছাত্রদলের পোস্ট দাড়ি নেতারা পক্ষিয়া ইউনিয়নে চাঁদাবাজি করে আসছে, আমি তার প্রতিবাদ করায় আজ আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ওপর হামলা ও আমার নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাশের থেকে ৬ লাখ, আরেক দোকানে আমার ছেলে বসে, সেইও দোকান থেকে ২ লাখ টাকা, এমনকি আমার ছেলে বাঁধা দিলে তার মাথায় আঘাত করলে ফেটে যায়, পরে বোরহানউদ্দিন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে যাই। তার মাথায় ৬ টি সেলাই করা হয়। পরে বোরহানউদ্দিন থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করি। অভিযোগ অস্বীকার করে মো.জসিম মাতাব্বর,মোহাম্মদ ইদ্রিস মিয়া,মোঃ মিজান,তৈয়ব মাতব্বর,মোসলে উদ্দিন কাজীসহ অভিযুক্তরা বলেন,আমাদের বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ করা হয়েছে সবগুলোই উদ্দেশ্য প্রণোদিত। দলের বদনাম করার জন্য তারা আওয়ামী লীগের এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তারা মূলত পক্ষিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন সরদারের হয়ে এগুলো করতেছে, যাতে আলাউদ্দিন সরদার তাদের ওপর ভর করে পক্ষিয়া ইউনিয়নে ফিরে আসতে পারে। পক্ষিয়া ইউনিয়ন বিএনপি শান্তির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে কিন্তু ইউসুফ সহ কিছু সন্ত্রাসী গোষ্ঠী উশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করতে চায় তারা আওয়ামী লীগের সাথে জড়িত ছিল তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ঢালাওভাবে বদনাম করছে,আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ব্যাপারে পক্ষিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক লোকমান হাওলাদার বলেন- যেই সময়ের ঘটনার কথা বলে জসিম মাতাব্বর,ইদ্রিস হাওলাদার সহ নেতাকর্মীদের অভিযুক্ত করেছেন ইউসুফ, সেই সময় আমি ও সভাপতি হুমায়ুন কবির সেলিম, জসিম মাতাব্বর ও মোসলেউদ্দিন সহ পক্ষিয়া ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ একটি বিষয় নিয়ে বিএনপির একটি অফিসে বসা ছিলাম। এমন কোন ঘটনা শুনিনাই। বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান জানান- অভিযোগ পেয়েছি, ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়েছে, তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ