নদীতে জেগে ওঠা চরে মাছ ধরতে বিএনপি'র স্থানীয় নেতাদের চাঁদা দাবি,বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
নদীতে জেগে ওঠা চরে মাছ ধরতে বিএনপি'র স্থানীয় নেতাদের চাঁদা দাবি,বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
আপলোড সময় :
০৯-১২-২০২৪ ১১:৫০:৫২ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় :
০৯-১২-২০২৪ ১১:৫০:৫২ পূর্বাহ্ন
নদীতে জেগে ওঠা চরে মাছ ধরতে বিএনপি'র স্থানীয় নেতাদের চাঁদা দাবি, বহিষ্কারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
পটুয়াখালীর গলাচিপায় রাবনাবাদ নদীতে জেগে ওঠা চরে মাছ ধরতে জেলেদের কাছে চাঁদা দাবি ও বাঁধা দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার ০৬ (ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় নলুয়াবাগীর ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁধঘাট সংলগ্ন এলাকায় চাঁদা দাবির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে স্থানীয় জনগণএ-সময় বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য করায় অভিযোগ তুলে বিক্ষোভ মিছিল থেকে নলুয়াবাগী সাংগঠনিক ইউনিয়নের বিএনপির সভাপতি মো. বাহাদুর আলম মৃধা, সিনিয়র সহ সভাপতি মো. আশরাফ প্যাদা ও সাধারণ সম্পাদক মো. দাদন চৌকিদার কে দল থেকে বহিষ্কারের দাবি জানান।বিক্ষোভ মিছিলে প্রায় শতাধিক নারী-পুরুষ বাঁশের লাঠি, হাতে ঝাড়ু নিয়ে অংশগ্রহণ করেন। এসময় বক্তব্য রাখেন, নলুয়াবাগী সাংগঠনিক ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. আনোয়ার হোসেন খলিফা, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সাঈদ আকন, স্থানীয় বাসিন্দা মো. ইউনূস হাওলাদার, মো. জাকির খলিফা ও মো. মিজানুর মোল্লা। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, "রাবনাবাদ নদীতে জেগে ওঠা চর সিএস/আরএস খতিয়ানে আমাদের স্থানীয় বাসিন্দাদের রেকর্ডীয় জায়গা ছিল। ভাঙনের ফলে নদীতে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে বিএস খতিয়ানে ১নং খাস খতিয়ানে লিপিবদ্ধ হয়েছে। আমরা এলাকাবাসী এক হয়ে যুগ্ম জেলা জজ আদালত পটুয়াখালীতে জমি ফিরে পেতে মামলা করি। যে মামলা চলমান রয়েছে। মামলা নম্বর ১২১/২০২২ । বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগ নেতারা এই চর দখলের চেষ্টা করেছে আমরা তার প্রতিবাদ করেছি। এই নদীর চর দিয়ে জেলেদের জীবন ও জীবিকা চলে কিন্তু এখন বিএনপির নাম ভাঙিয়ে বাহাদুর আলম মৃধা ও কয়েকজন নেতা এই চরে মাছ ধরতে জেলেদের কাছে ৪০/৫০ হাজার টাকা দাবি করেছেন। টাকা না দিলে মাছ ধরতে বাঁধা দেয়। আমাদের জেলেরা গরিব মানুষ এত টাকা কোথায় পাবে। তাই জনগণ ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সুষ্ঠু বিচার দাবি করছে।যেখানে সরকারি খাস জমি লিজ দেয়ার নিয়ম নাই, সেখানে তারা কীভাবে লিজ আনলো। আমরা মামলা করে লক্ষ টাকার উপরে খরচ করেছি"।মূলত চরে জেলেরা ঘের জাল (স্থানীয় ভাষায় খুঁটা জাল) দিয়ে মাছ ধরেন। সেখানে মাছ ধরতে টাকা দিতে হয় জেলেদের। অভিযোগের তীর নলুয়াবাগী সাংগঠনিক ইউনিয়নের বিএনপি'র স্থানীয় নেতাদের বিরুদ্ধে।অভিযোগের বিষয়ে বাহাদুর আলম মৃধা বলেন, "আমি বন বিভাগের কাছ থেকে লিজ পাওয়ার পরে সব জেলেকে ডাকছি সমন্বয় করে দেয়ার জন্য কিন্তু তারা আসেনি। টাকা দাবির অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। তারা জনগণকে ভুল বুঝিয়ে মিছিল করেছে।" বাহাদুর আলম মৃধা পাল্টা অভিযোগ করেন, লিজ আনার পরেও তারা আমার জেলেদের মাছ ধরেতে দেয় না। এ বিষয়ে আমরা থানায় অভিযোগ করেছি"।উপজেলা বিএনপির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, "আমি বিষয়টি অবগত নই। তবে বিষয়টি জানার পরে তদন্ত করে দলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে"। বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, "এ চরে রাজস্ব আদায়ের জন্য দুইজনকে ছয় মাসের জন্য মাছ ধরার শর্তে ইজারা দেয়া হয়েছে। কেউ যদি টাকা দাবি করে এ দায় ব্যক্তির, অফিস তার দায়িত্ব নিবে না"।
নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload
কমেন্ট বক্স