ঢাকা , সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫ , ২৫ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মার্কেটের দখলদাররা রয়ে গেছে বহাল তবিয়তে

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ০৯-০৩-২০২৫ ১২:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন
আপডেট সময় : ০৯-০৩-২০২৫ ১২:৫৯:২৮ পূর্বাহ্ন
মার্কেটের দখলদাররা রয়ে গেছে বহাল তবিয়তে জাকের সুপার মার্কেট, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজার

দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর বেহাত মার্কেট স্পেস নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটছেই না
জাহিদুল আলম : ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর বেশ কয়েকটি মার্কেটের অনেক স্পেস বেহাত হয়ে আছে। বিশেষ করে দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর জাকের সুপার মার্কেট, নগর প্লাজা, সিটি প্লাজার  অনেক স্পেসই  বেদখল হয়ে আছে। সেই সব বেহাত হওয়া স্পেস উদ্ধারে সিটি কর্পোরেশনের সংশ্লিষ্ট শাখার চোখে পড়ার মতো কোন উদ্যোগ নেই। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, মার্কেটগুলোতে সিটি কর্পোরেশন এর প্রশাসনিক  উদ্যোগ দূর্বল হলেও মার্কেট  গুলোতে ফেরার জোর চেষ্টা করছে দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকা একটি শক্তিশালী গ্রুপ। এ নিয়ে এই তিনটি মার্কেট ঘিরে যে কোন সময় বড় ধরণের সংঘাতের আশঙ্কা করছেন সাধারণ ব্যবসায়ীদের অনেকেই।  সিটি কর্পোরেশন  এর সাথে যুক্ত সূত্রগুলো বলছে,  মার্কেট তিনিটির অনেক বড় অংশই  বিগত আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যতম দোসর হিসেবে পরিচিতরা  ক্ষমতার  দাপট দেখিয়ে দখল করে নেয়। দলীয় বিবেচনায় সে সময় সিটি কর্পোরেশন প্রশাসনও নিজেদের সম্পদ রক্ষায় তৎপরতা দেখায়নি। সে সুযোগে সিটি কর্পোরেশন এর সংশ্লিষ্ট শাখার সুবিধাখোর কয়েকজন কর্মচারি দখলদারদের সাথে মিশে  হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। আর সিটি কর্পোরেশন এর সম্পদ নিজেদের পৈত্রিক সম্পদের মতো ব্যবহার করে শত কোটি টাকার মালিকবনে যান কোন কোন নেতার পরিচয়দানকারিরা। 
৫ আগষ্টের বিপ্লবের পর আওয়ামী মাস্টারমাইন্ড  শেখ হাসিনা পরিবারের অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর মেয়র ফজলে নূর তাপস পালিয়ে গেলেও  মার্কেটের দখলদাররা রয়ে গেছে বহাল তবিয়তে।  সিটি কর্পোরেশন এর মার্কেট বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মর্কতারা এখনো পূর্বের আওয়ামী দোসরও ফ্যাসিস্ট  শক্তির সমর্থক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। তারা এখনো প্রতিনিয়ত  হাত ছাড়া হওয়া মার্কেট থেকে মোটা অংকের অর্থ নানা অজুহাতে হাতিয়ে নিচ্ছেন। কিন্তু  দখল হয়ে যাওয়া মার্কেট স্পেস উদ্ধারে কোন মাথা ভ্যথ্যা নেই। 
সূত্র বলছে, মার্কেটগুলোতে ফ্যাসিস্ট দোসরদের নেতা হিসেবে  এখনো বহাল তবিয়তে কাজ করে যাচ্ছে সোহেল নামে এক ব্যক্তি। যিনি তিনিটি মার্কেটের বেইজমেন্ট দোকান মালিক সমিতির ব্যানারে নিজেকে সভাপতি দাবি করে দখলের রাজত্ব রক্ষায় মরিয়া  আচরণ করছেন। চেষ্টা করেছেন  মহানগর বিএনপির  কোন কোন নেতাকে  ম্যানেজ করে দখলের সম্্রাজ্য টিকিয়া রাখতে। 
জানা গেছে,এরই মধ্যে বেইজমেন্টে ব্যবসা পরিচালনার সুবিধা করে দেয়ার নামে  ৬শতাধিক দোকানের প্রতিটি থেকে ২৫ হাজার টাকা হারে চাঁদা তুলেছেন সোহেল। 
এ দিকে মার্কেটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে চাইলে মার্কেট বিভাগের কর্মকর্তা হাবিবুর বলেন, পরিবর্তিত  পরিস্থিতিতে  আমাদের অনেক কাজই এলোমেলো হয়ে আছে। তবে মার্কেটের শৃঙ্খলা রক্ষা ও স্পেসের  যৌক্তিক ব্যবহারে আমরা ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিতে শুরু করেছি। তিনি আরো বলেন, যে সব ব্যবসায়ীরা মার্কেটে ব্যবসা করেন তাদের অনেকেই নিজেদের প্রয়োজনে অনেক সময় সিটি কর্পোরেশন এর নিয়ম বুঝে বা না বুঝে অতভা করো প্ররোচানায় বা প্রলোভনে পড়ে  বাড়তি স্পেস ব্যবহার করার  চেষ্টা করে। কিন্তু শেষ বিচারে তাতো করা সম্ভব নয়। 
মার্কেটের দখলদার হিসেবে আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের অন্যতম দোসর হিসেবে সোহেল এর নাম আসছে। তার কার্যকলাপ সম্পর্কে জানতে চাইলে ঐ কর্মকর্তা  বলেন, যারা মার্কেটে আছে তারা ব্যবসায়ী। অব্যবসায়ী বা অন্য কেউ মার্কেটে থাকার কথা নয়। আর রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার বিষয়ে তিনি কোন কথা বলতে রাজি  হননি। 
এ দিকে সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এর তিনটি মকের্টের বিরাট স্পেস  অবৈধভাবে দখলে নিয়ে ভাড়া রেখেছে সোহেল গং।  সেখান থেকে এখানো তারা নিয়মিত ভাড়া বা চাঁদা তুলে প্রতিমাসে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা।  অন্য দিকে দীর্ঘ সময়  ক্ষমতার বাইরে থাকা একটি গ্রুপ নতুন করে মার্কেট গুলোতে ফেরার জোর চেষ্টা শুরু করেছে। এতে যে কোন সময়  দক্ষিণ সিটি কের্পারেশন এর এ তিনটি মার্কেট ঘিরে বড় ধরণের সংঘর্ষ বা সংঘাতের ঘটনার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ