ঢাকা , মঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫ , ১১ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

​সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্ত অর্জনের অভিযোগ

​সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্ত অর্জনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় : ১২-০৩-২০২৫ ১০:৩৭:৩৩ অপরাহ্ন
আপডেট সময় : ১২-০৩-২০২৫ ১০:৩৭:৩৩ অপরাহ্ন
​সাউথবাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অবৈধ অর্ত অর্জনের অভিযোগ

সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে অবৈধ ও করবহির্ভূত অর্থ আর্জনের অভিযোগ উঠেছে। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদের উপার্জিত অবৈধ অর্থ তার নিজের ও স্ত্রী সন্তানদের হিসাবে সংরক্ষণ করছেন, এমন অভিযোগ এসেছে রাজস্ব বোর্ড ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। গত ১০ ফেব্রুয়ারি মো. আব্দুল হান্নান নামের এক ব্যক্তি এমন অভিযোগ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ (বিএফআইইউ) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর)।
এসব অভিযোগে বলা হয়েছে, বিএন্ডটি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা মো. মোখলেছুর রহমান ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০৬ পর্যন্ত কাজী নাবিলের মালিকানাধীন জেমন গ্রুপের বেতনভুক্ত কর্মকর্তা ছিলেন। এসময় তিনি কাজী নাবিলের বিশ্বস্ততা অর্জন করায় জেমকন গ্রুপের বেনামি অর্থায়নে বিএন্ডটি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন মোখলেছুর রহমান। পাশাপাশি কাজী নাবিলের অবৈধ অর্থে নিজ স্ত্রী ও সন্তানদের নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি গড়ে তুলেছেন যার অনেক কিছুই আয়করে গোপন করেছেন। এছাড়া ছয়টি ব্যাংকের ৯৩৯ কোটি টাকার ফিক্সড ডিপোজিট রেখেছেন যা তিনি আয়করে প্রদর্শন করেননি। এর মধ্যে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের ৩শ কোটি টাকা, এনসিসি ব্যাংকের ২২০ কোটি টাকা, সাউথইস্ট ব্যাংকের ২১৬ কোটি টাকা, শাহজালাল ব্যাংকের ১৮৫ কোটি টাকা, ইউসিবিতে ৫৪ ও স্টান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকে ৬৪ কোটি টাকা এফডিআর রয়েছে। এছাড়াও তাহার নামে দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রচুর সম্পদ রয়েছে এর মধ্যে আমাদের হাতে কিছু সম্পদের তথ্য এসেছে বর্তমানে মোখলেছুর রহমানের নামে ঢাকার তেজগাঁও লিংক রোডে শান্তা ওয়েস্টান টাওয়ারে ৬টি বানিজ্যিক ফ্লোর রয়েছে। যাহার বাজার মূল্য আনুমানিক ২৫০ কোটি টাকা এবং কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ বনানীতে ১৫তলা বিশিষ্ট একটি বানিজ্যিক ভবন রয়েছে যাহার বাজার মূল্য আনুমানিক ৩০০ কোটি টাকা। এছাড়াও তাহার নামে বসুন্ধারা আবাসিকের আই ব্লকে ১০ বিঘা জায়গা রয়েছে যাহার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩০০ কোটি টাকা এছাড়াও তাহার নামে ঢাকা জেলা, চুয়াডাঙ্গা জেলা, ঝিনাইদাহ জেলা, ও পঞ্চগড় জেলাতে সব মিলিয়ে ৩০৩ বিঘা সম্পত্তি বা জমি পাওয়া গেছে যাহার বাজার মূল্য আনুমানিক ১০০০ (এক হাজার) কোটি টাকার উপরে এছাড়াও তাহার ছেলে মেয়ে ও বউয়ের নামে বনানী ও গুলশানে একাধিক বাড়ীর সন্ধান পাওয়া গেছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের এমপি কাজী নাবিলের অবৈধ অর্থের রক্ষণাবেক্ষণকারী হয়েও জুলাই বিপ্লবের পর সুকৌশলে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার ব্যাংকের চেয়ারম্যান হন মোখলেছুর রহমান। এখানে এসে তিনি ব্যাংকের নিয়মিত কার্যক্রমে অবৈধ হস্তক্ষেপ করছেন। পাশাপাশি নিজ সিন্ডিকেটের ব্যক্তিদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে বসিয়েছেন। এর মধ্যে ডিএমডি নাজিমুদ্দৌলাকে অবৈধ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নিয়োগ দিয়েছেন এবং এনআরবিসি ব্যাংকের অতিরিক্ত ম্যানেজিং ডিরেক্টর রবিউল সাহেবকে এই ব্যাংকের নতুন এমডি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার জন্য অফার লেটার দিয়েছেন। কিন্তু অতিরিক্তে এমডি রবিউল সাহেবের নামে অলরেডি দুদকে মামলা চলমান রয়েছে। এতেই বুঝা যায় যে অসৎ উদ্দেশ্যে হাসিলের জন্যেই এবং ব্যাংক থেকে টাকা বের করার পরিকল্পনা আঁটছেন ।
এ প্রসঙ্গে সাউথ বাংলা ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মোখলেছুর রহমান বলেন,

নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload

কমেন্ট বক্স

এ জাতীয় আরো খবর

সর্বশেষ সংবাদ