মোহাম্মদপুরে বিএনপির নাম ভাংগিয়ে বেপরোয়া কামরুলের নেতৃত্বে চলছে নীরব চাঁদাবাজি
স্টাফ রিপোর্টার
আপলোড সময় :
১০-০৬-২০২৫ ১০:৪৩:২৭ অপরাহ্ন
আপডেট সময় :
১০-০৬-২০২৫ ১০:৪৩:২৭ অপরাহ্ন
কিশোর গ্যাং লিডার কামরু
নিজস্ব প্রতিনিধি
মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাং লিডার কামরুলের নেতৃত্বে চলছে নীরব চাঁদাবাজি মোহাম্মদপুরে কিশোর গ্যাং লিডার কামরুলের নেতৃত্বে চলছে নীরব চাঁদাবাজি
ক্রাইম রিপোর্টার : রাজধানীর মোহাম্মদপুর প্রতিনিয়ত আলোচনার শীর্ষে কারণ চলছে নীরব চাঁদাবাজি ছিনতাই খুন আধিপত্য ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে প্রতিনিয়ত হচ্ছে মারামারি গোলাগুলি নিরীহ এলাকাবাসী পথচারী হারাচ্ছে প্রাণ বরণ করছে পঙ্গুত্ব, চাঁদা না দিলেই প্রকাশ্য গুলি করে হত্যা করছে কোপাচ্ছে জনসম্মুক্ষে, চাঁদাবাজের তালিকায় সাধারণ ব্যবসায়ী থেকে শুরু করে ফুটপাতের ক্ষুদ্র দোকানদার সহ কেউ রেহাই পাচ্ছে না।
সম্প্রতি মোহাম্মদপুর থানায় চাঁদাবাজির অভিযোগে ২৯ নাম্বার ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কামরুের বিরুদ্ধে খলিল নামে ছাত্র নিজের জীবনের নিরাপত্তা ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন, এবং এই কামরুলের বিরুদ্ধে আরও অনেক অভিযোগ আছে কিন্তু ভয়ে তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলে না।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় মোহাম্মদপুর সূচনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে ফুটপাত নিয়ন্ত্রণ করেন, স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কিশোর গ্যাং লিডার কামরুল ও তার বাহিনী। ৪০ হাজার টাকা এডভান্স ও মাসে ৮০০০ আট হাজার টাকা ভাড়ার চুক্তিতে কামরুল গংরা বিভিন্ন জনের কাছ থেকে চাঁদা উত্তোলন করে গুরুত্বপূর্ণ সড়কগগুলিতে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে দোকান বসিয়ে চাঁদাবাজি করেন। ফুটপাতের ব্যবসায়ী ছাত্র ইব্রাহিম খলিল মোটা অংকের টাকা এডভান্স সহ মাসিক চুক্তিতে ভাড়া প্রদান করেন কামরুল গং দের।
বেশ কিছুদিন খলিল অসুস্থ থাকায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা কামরুল তার দোকানটি সরিয়ে অন্য আর একজনকে ভাড়া দিয়ে দেন, পরবর্তীতে খলিল তার টাকা ফেরত চাইলে তার সঙ্গে টালবাহানা শুরু করেন ও হুমকি ধামকি দেন, এমনকি জীবননাশের হুমকি ও প্রদান করেন। জীবনের নিরাপত্তার স্বার্থে বাধ্য হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
কামরুল মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে একটি টেইলার্সের দোকানদার, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কৃষি মার্কেটের আশেপাশের বেশ কয়েকজন ব্যক্তি বলেন, কামরুলের সঙ্গে মোহাম্মদপুরের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গভীর সখ্যতা আছে এইজন্য তার বিরুদ্ধে কেউ ভয়ে মুখ খুলেনা ও তার নিজস্ব একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী রয়েছে এই বাহিনীর লোকজন বিভিন্ন ফুটপাত ও সড়ক থেকে প্রতিনিয়ত চাঁদা কালেকশন করে, তার বাহিনীর অধিকাংশ ছেলেগুলি কম বয়সি কিশোর ভয়ংকর যে কোন মুহূর্তে যেকোনো ধরনের অপরাধ সংগঠিত করতে পারে তারা
দলীয় পদ হুমকিতে পড়তে পারে এই ভয়ে মোহাম্মদপুর থানার এ এস আই আকবরের সামনে ২০ হাজার টাকায় ঘটনাটি দফারফা করে ধামাচাপা দিতে চেয়েছিলেন কিন্তু তা পারেননি। আর চাঁদাবাজির অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেও এএসআই আকবর বলেন, এটা চাঁদাবাজি না একজন পুলিশ কর্মকর্তা যদি এই ধরনের চাঁদাবাজদের পক্ষে কথা বলেন সেটা সাধারণ মানুষের মনে প্রশ্ন জাগে তারা কার পক্ষে অপরাধীদের না সাধারণ মানুষের।
মহানগর বিএনপির এক শীর্ষ নেতা বলেন, বিএনপিতে কোন চাঁদাবাজের স্থান নেই দলীয় পরিচয় বা নাম ভাঙ্গিয়ে কোন ধরনের অপরাধ অন্যায় অথবা অনিয়মের সঙ্গে কেউ যুক্ত থাকলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইনের হাতে তুলে দেওয়া হবে, বিএনপির রাজনীতি জনকল্যাণের ও জনগণের জন্য এখানে কোন অপরাধীদের আশ্রয় প্রশ্রয় বা কোন ধরনের সুযোগ দেওয়া হয় না এবং যারা কোন অপরাধ অথবা চাঁদাবাজ কে কোন ধরনের সুযোগ দেবে তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাঁদাবাজির বিষয়ে পুলিশের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, কিশোর গ্যাং লিডার ও চাঁদাবাজি, ছিনতাই মাদক ব্যবসাসহ সকল অপরাধীদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে কাউকে কোনরকম ছাড় দেওয়া হবে না।
মোহাম্মদপুরে বসবাসকারী একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর অনুপম চৌধুরী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোরভাবে এদেরকে নিয়ন্ত্রণ ও দমন করতে হবে না হলে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা আরো কঠিন হয়ে পড়বে এবং সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে এই ধরনের অপরাধীদেরকে বয়কট করতে হবে।
এ বিষয়ে কামরুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
নিউজটি আপডেট করেছেন : News Upload
কমেন্ট বক্স