চট্টগ্রামের দক্ষিণ বন কর্মকর্তা, চুনতি রেঞ্জ ও সাতগড় বনবিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ১০ লাখ টাকা ঘুষ না দেওয়ায় ৯টির অধিক মৎস্য ঘের ও এক হাজার ফলদ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
ঘুষ দাবি ও ফলদ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ তুলে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া বড়ডেপা ঘোনা এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ওই মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বন বিভাগের জায়গায় একটি খুপরি ঘর ও টয়লেট নির্মাণ করতেও বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে হয়। অন্যথায় কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মামলা দিয়ে দেয়। অবিলম্বে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, চুনতি বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের পর অপসারণের দাবি করছি।
এসব কর্মকর্তা ঘুষ-বাণিজ্যের সঙ্গে দুর্নীতিসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মো. জাকারিয়া, হাবিবুর রহমান, মো. ইসমাঈল, মো. আইয়ুব, মো. মতিউর রহমান, আনোয়ার হোসেন, মো. আলম মেম্বার, আবু সাঈদ, মো. সোহেল প্রমুখ।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, চুনতি বন রেঞ্জর সাতগড় বনবিটের আওতাধীন জাঙ্গালিয়া বড়ডেপা ঘোনা এলাকায় সরকারি সমাজিক বনায়নঘেঁষে ৯টি মৎস্য ঘের। এসব মৎস্য ঘেরের পাড় কেটে দেওয়া ও পানিশূন্য। পানি না থাকার ফলে অনেক মাছও মারা গেছে। এ ছাড়া খামারবাড়ি সংলগ্ন লেবু বাগানের গাছ কেটে ফেললেও আশপাশের গাছগুলো অক্ষত আছে।
ভুক্তভোগী মো. ইসমাঈল বলেন, আমার বড় ভাই সাজেদা অ্যাগ্রো ফিশের মালিক। তিনি আমাদের নিজস্ব জমিতে সাজেদা অ্যাগ্রো ফিশের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মাছের প্রজেক্ট তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। প্রতি বছর বন বিভাগের লোকজনকে বিভিন্ন হারে চাঁদা দিতে হতো। সরকার পতনের পর আগের মতো ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন তারা। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে ক্ষুব্ধ হয়ে সম্প্রতি বন কর্মকর্তা (এসিএফ) দেলোয়ারের নেতৃত্বে তার লোকজন ৯টি মৎস্য ঘেরের পাড় ও ১ হাজার ফলদ গাছের চারা কেটে দেন। একই দিন মৎস্য ঘেরে থাকা কর্মচারীরা প্রতিবাদ করলে হামলা ও মামলার ভয় দেখান। যার ফলে আমাদের ৪০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আরেক ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান বলেন, সেই ব্রিটিশ আমল থেকে আমার পূর্বপুরুষরাও বড়ডেপা ঘোনায় চাষাবাদ করে আসছেন। এখন আমরা জীবন ধারণের জন্য চাষাবাদ ও পাশাপাশি মৎস্য চাষ শুরু করেছি। পরিবেশ নষ্ট হওয়ার মতো কোনো কাজ করছি বলে মনে হয়নি। হঠাৎ দলবল নিয়ে বন বিভাগের লোকজন অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কেটে দেয় মৎস্য ঘের ও ফলদ গাছ। ঘুষ দিলে সবই সম্ভব বন বিভাগে। ঘুষ না দেওয়ায় আজকে এই পরিণতি।
এ ব্যাপারে জানতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও কল রিসিভ হয়নি।
ঘুষ দাবি ও ফলদ গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ তুলে শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি জাঙ্গালিয়া বড়ডেপা ঘোনা এলাকায় মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
ওই মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বন বিভাগের জায়গায় একটি খুপরি ঘর ও টয়লেট নির্মাণ করতেও বন বিভাগের অসাধু কর্মকর্তাদের টাকা দিয়ে ম্যানেজ করতে হয়। অন্যথায় কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে মামলা দিয়ে দেয়। অবিলম্বে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন, চুনতি বনরেঞ্জ কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও সাতগড় বনবিট কর্মকর্তা মো. রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের পর অপসারণের দাবি করছি।
এসব কর্মকর্তা ঘুষ-বাণিজ্যের সঙ্গে দুর্নীতিসহ বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে জানান বক্তারা।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন মো. জাকারিয়া, হাবিবুর রহমান, মো. ইসমাঈল, মো. আইয়ুব, মো. মতিউর রহমান, আনোয়ার হোসেন, মো. আলম মেম্বার, আবু সাঈদ, মো. সোহেল প্রমুখ।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, চুনতি বন রেঞ্জর সাতগড় বনবিটের আওতাধীন জাঙ্গালিয়া বড়ডেপা ঘোনা এলাকায় সরকারি সমাজিক বনায়নঘেঁষে ৯টি মৎস্য ঘের। এসব মৎস্য ঘেরের পাড় কেটে দেওয়া ও পানিশূন্য। পানি না থাকার ফলে অনেক মাছও মারা গেছে। এ ছাড়া খামারবাড়ি সংলগ্ন লেবু বাগানের গাছ কেটে ফেললেও আশপাশের গাছগুলো অক্ষত আছে।
ভুক্তভোগী মো. ইসমাঈল বলেন, আমার বড় ভাই সাজেদা অ্যাগ্রো ফিশের মালিক। তিনি আমাদের নিজস্ব জমিতে সাজেদা অ্যাগ্রো ফিশের নামে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে মাছের প্রজেক্ট তৈরি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। প্রতি বছর বন বিভাগের লোকজনকে বিভিন্ন হারে চাঁদা দিতে হতো। সরকার পতনের পর আগের মতো ১০ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন তারা। চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকার করলে ক্ষুব্ধ হয়ে সম্প্রতি বন কর্মকর্তা (এসিএফ) দেলোয়ারের নেতৃত্বে তার লোকজন ৯টি মৎস্য ঘেরের পাড় ও ১ হাজার ফলদ গাছের চারা কেটে দেন। একই দিন মৎস্য ঘেরে থাকা কর্মচারীরা প্রতিবাদ করলে হামলা ও মামলার ভয় দেখান। যার ফলে আমাদের ৪০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
আরেক ভুক্তভোগী হাবিবুর রহমান বলেন, সেই ব্রিটিশ আমল থেকে আমার পূর্বপুরুষরাও বড়ডেপা ঘোনায় চাষাবাদ করে আসছেন। এখন আমরা জীবন ধারণের জন্য চাষাবাদ ও পাশাপাশি মৎস্য চাষ শুরু করেছি। পরিবেশ নষ্ট হওয়ার মতো কোনো কাজ করছি বলে মনে হয়নি। হঠাৎ দলবল নিয়ে বন বিভাগের লোকজন অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে কেটে দেয় মৎস্য ঘের ও ফলদ গাছ। ঘুষ দিলে সবই সম্ভব বন বিভাগে। ঘুষ না দেওয়ায় আজকে এই পরিণতি।
এ ব্যাপারে জানতে চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেনকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও কল রিসিভ হয়নি।