বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলি করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রকে হত্যা করার অভিযোগে রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের সেই উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী (এসডিই) শেখ সোহেল রানাকে ঢাকা থেকে সিলেটে বদলি করা হয়েছে।
সোহেল রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী। গত ২২ সেপ্টেম্বর যুগান্তরের অনলাইনে ‘ছাত্র হত্যা মামলাল আসামি জাতীয় গৃহায়নের প্রকৌশলী’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদন প্রকাশের ৭ দিন পর জাতীয় গৃহায়নের এই দাপুটে কর্মকর্তাকে মিরপুর জাতীয় গৃহায়ন থেকে বদলি করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সিলেটে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি জারি করা হয়। চিঠির একটি কপি যুগান্তরের হাতে এসেছে।
জানা গেছে, শেখ সোহেল রানার বিরুদ্ধে ছাত্র হত্যা মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রকাশ্যে আসতে থাকে তার দুর্নীতি ও অপকর্মের খবর। মিরপুরের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবিরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত শেখ সোহেল গত ১ যুগের বেশি সময় কর্মরত রয়েছেন মিরপুরের জাতীয় গৃহায়নে। কয়েকদফা বদলির আদেশ হলেও অদৃশ্য খুঁটির জোরে তিনি ঘুরে ফিরে একই স্থানে রয়েছেন। একই স্থানে দীর্ঘদিন চাকরি করার সুবাদে এই কর্মকর্তা মিরপুর জোনের উচ্ছেদ কার্যক্রমের পুরোটাই বাণিজ্যে রুপান্তর করেছেন। প্রতিটি উচ্ছেদ কার্যক্রম হয়ে ওঠে যেন এক একটি চাঁদরাত। চাঁদরাতের সফলতা ঘরে তুলতে তিনি গৃহায়নে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী অবৈধ সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন দুজন উপসহকারী প্রকৌশলী, রাজনৈতিক পরিচয় বহনকারী নেতা ও দালাল চক্র। এছাড়া চক্রটি মিরপুরে অবৈধভাবে নির্মিত বাড়ি, ফাইল বেঁচা-কেনা, জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলো ধামাচাপা দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কাড়ি কাড়ি টাকা।
এ দিকে এক সময়ের আলোচিত ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে শেখ সোহেলের বিরুদ্ধে।ক্যাসিনো দুর্নীতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুদক এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। অবশ্য রাজনৈতিক প্রভাবে ওই তদন্ত আর বেশিদুর এগোয়নি। দুদকের ওই চিঠির একটি কপি যুগান্তরের হাতে এসেছে।
শেখ সোহেল রানার কাছে দুর্নীতি ও ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন।
সোহেল রাজধানীর মিরপুরের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী। গত ২২ সেপ্টেম্বর যুগান্তরের অনলাইনে ‘ছাত্র হত্যা মামলাল আসামি জাতীয় গৃহায়নের প্রকৌশলী’ শিরোনামে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে। প্রতিবেদন প্রকাশের ৭ দিন পর জাতীয় গৃহায়নের এই দাপুটে কর্মকর্তাকে মিরপুর জাতীয় গৃহায়ন থেকে বদলি করে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ সিলেটে নেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ থেকে এই সংক্রান্ত একটি চিঠি জারি করা হয়। চিঠির একটি কপি যুগান্তরের হাতে এসেছে।
জানা গেছে, শেখ সোহেল রানার বিরুদ্ধে ছাত্র হত্যা মামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে প্রকাশ্যে আসতে থাকে তার দুর্নীতি ও অপকর্মের খবর। মিরপুরের জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ এবং সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে শেখ হাসিনার চাচা শেখ কবিরের ডান হাত হিসেবে পরিচিত শেখ সোহেল গত ১ যুগের বেশি সময় কর্মরত রয়েছেন মিরপুরের জাতীয় গৃহায়নে। কয়েকদফা বদলির আদেশ হলেও অদৃশ্য খুঁটির জোরে তিনি ঘুরে ফিরে একই স্থানে রয়েছেন। একই স্থানে দীর্ঘদিন চাকরি করার সুবাদে এই কর্মকর্তা মিরপুর জোনের উচ্ছেদ কার্যক্রমের পুরোটাই বাণিজ্যে রুপান্তর করেছেন। প্রতিটি উচ্ছেদ কার্যক্রম হয়ে ওঠে যেন এক একটি চাঁদরাত। চাঁদরাতের সফলতা ঘরে তুলতে তিনি গৃহায়নে গড়ে তুলেছেন শক্তিশালী অবৈধ সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন দুজন উপসহকারী প্রকৌশলী, রাজনৈতিক পরিচয় বহনকারী নেতা ও দালাল চক্র। এছাড়া চক্রটি মিরপুরে অবৈধভাবে নির্মিত বাড়ি, ফাইল বেঁচা-কেনা, জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয়গুলো ধামাচাপা দিয়ে হাতিয়ে নিয়েছে কাড়ি কাড়ি টাকা।
এ দিকে এক সময়ের আলোচিত ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগও রয়েছে শেখ সোহেলের বিরুদ্ধে।ক্যাসিনো দুর্নীতিসহ বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে অসংগতিপূর্ণ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০২১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর দুদক এই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে একটি ৭ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে। অবশ্য রাজনৈতিক প্রভাবে ওই তদন্ত আর বেশিদুর এগোয়নি। দুদকের ওই চিঠির একটি কপি যুগান্তরের হাতে এসেছে।
শেখ সোহেল রানার কাছে দুর্নীতি ও ক্যাসিনোকাণ্ডে জড়িত থাকার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দেন।