সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর ২৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১৫৮১ জন মৃত্যুবরণ করেন এবং অসংখ্য মানুষ তাদের হাত-পা ও চোখ হারিয়ে চিরতরে পঙ্গুত্ববরণ করেন। এসব আহত-নিহতের ঘটনায় সারা দেশের ন্যায় গাজীপুরের বিভিন্ন থানায় মামলা রুজু হয়েছে।
কিন্তু ওইসব মামলার অন্তরালে একটি কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে শতশত নিরীহ মানুষ মামলার সাগরে ভাসছেন। পাশাপাশি অপর একটি চক্র এই মামলা নিয়ে ব্যাপক অর্থবাণিজ্য করছেন বলেও সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। যুবদল নেতার এমনই একটি অর্থবাণিজ্যের কলরেকর্ড সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে।
ওই কল রেকর্ডে স্থানীয় এক ‘তাঁতিলীগ নেতাকে গাজীপুর মহানগর যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও গাছা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল সরকার বলছেন, ‘তোর নাম কাটাইতে কী লাগবে-তুই বুঝিস? আমি এত কথা কইবার চাই না, বিশ হাজার টাকা ইমার্জেন্সি আমার বিকাশ নম্বরে পাঠায় দে। এখনই সবার নামে মামলা এন্ট্রি হচ্ছে। আমি বলছি এটা আমার ছোট ভাই, এটা আমি বুঝবোনে। তোদের ওপর পুলিশ অনেক ক্ষ্যাপা। কালা শামিম, বুইট্টা রাজু, কেচরা রুবেল সবার নাম লিস্টে। পরে তাঁতিলীগের ওই নেতা বলেন, আমি আরেকটা মামলা নিয়ে আরেক জায়গায় টাকা-পয়সা দিছি। বাসায় কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি।’ পরে যুবদল নেতা বলেন, আমি শুধু তোর জন্য বাহিরে বের হইছি। এই মামলায় কেউ যদি ধরা খায় তিন বছরের আগে বের হতে পারবে না।’
উল্লেখিত বিষয়ে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড তাঁতীলীগ নেতা রানা মিয়া যুগান্তরকে জানান, থানার ওসির রুমে বসে তার কাছে টাকা চাওয়া হয়। টাকা না দিলে হত্যা মামলায় নাম দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। টাকা না দেওয়ায় ওইদিনই গাছা থানার মামলায় তাকে ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলাটি যখন ড্রাফট করা হয় তখন এতে আসামির সংখ্যা ছিল ১৪৫ জন। পরবর্তীতে ওই মামলাই যখন থানায় নথিভুক্ত করা হয় তখন ৪০ জনের নাম বাদ দিয়ে আসামির সংখ্যা হয়ে যায় ১০৫ জন।
এছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৫০-২০০ জনকে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ১৮ নম্বর মামলাটি গাছা থানায় নথিভুক্ত করেন ওই থানার ওসি আলী মোহাম্মদ রাশেদ। ওই থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় একটি হত্যাসহ মোট ৯টি মামলা রুজু হয়েছে। এমনভাবে গাজীপুরের মোট ১৩টি থানায়ই কমবেশি মামলা রুজু হয়েছে। এসব মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও বিএনপি কর্মী, ছাত্র-শিক্ষক, সাংবাদিকসহ শত শত মানুষের নাম পড়েছে।
আরিফুর রহমান নামে স্থানীয় যুবক যুগান্তরকে জানান, বাদী হিসেবে মোস্তাকিন মামলায় উল্লেখ করেন তার হাঁটুর উপরে গুলি লেগেছে। অথচ তিনি একজন সুস্থ মানুষ। তার হাঁটুতে গুলির কোনো আলামত নেই। শুধু মামলা দিয়ে টাকা খাওয়ার জন্য তাকে ব্যবহার করা হয়েছে। ওই মামলায় বাদী মোস্তাকিনের যে মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে তাতে একাধিকবার কল দিয়ে কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, মামলার গ্রহণের পূর্বে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়। মামলার বাদী মোস্তাকিনের হাঁটুতে গুলি লেগেছে কি না আমি বরতে পারব না। এটি তদন্ত কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন। তবে, মামলার এজাহারের সঙ্গে কোনো মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয় নাই।
উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে রুবেল সরকারের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে কথা না বলেই তার স্ত্রীর কাছে দিয়ে দেন। এ সময় রুবেল সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি দিচ্ছি বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও ওই প্রান্ত থেকে কেউ ফোনকল রিসিভ করেননি।
কিন্তু ওইসব মামলার অন্তরালে একটি কুচক্রী মহলের ষড়যন্ত্রে শতশত নিরীহ মানুষ মামলার সাগরে ভাসছেন। পাশাপাশি অপর একটি চক্র এই মামলা নিয়ে ব্যাপক অর্থবাণিজ্য করছেন বলেও সংবাদ প্রকাশ হচ্ছে। যুবদল নেতার এমনই একটি অর্থবাণিজ্যের কলরেকর্ড সম্প্রতি ফাঁস হয়েছে।
ওই কল রেকর্ডে স্থানীয় এক ‘তাঁতিলীগ নেতাকে গাজীপুর মহানগর যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য ও গাছা থানা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রুবেল সরকার বলছেন, ‘তোর নাম কাটাইতে কী লাগবে-তুই বুঝিস? আমি এত কথা কইবার চাই না, বিশ হাজার টাকা ইমার্জেন্সি আমার বিকাশ নম্বরে পাঠায় দে। এখনই সবার নামে মামলা এন্ট্রি হচ্ছে। আমি বলছি এটা আমার ছোট ভাই, এটা আমি বুঝবোনে। তোদের ওপর পুলিশ অনেক ক্ষ্যাপা। কালা শামিম, বুইট্টা রাজু, কেচরা রুবেল সবার নাম লিস্টে। পরে তাঁতিলীগের ওই নেতা বলেন, আমি আরেকটা মামলা নিয়ে আরেক জায়গায় টাকা-পয়সা দিছি। বাসায় কথা বলে আপনাকে জানাচ্ছি।’ পরে যুবদল নেতা বলেন, আমি শুধু তোর জন্য বাহিরে বের হইছি। এই মামলায় কেউ যদি ধরা খায় তিন বছরের আগে বের হতে পারবে না।’
উল্লেখিত বিষয়ে ৩৭ নম্বর ওয়ার্ড তাঁতীলীগ নেতা রানা মিয়া যুগান্তরকে জানান, থানার ওসির রুমে বসে তার কাছে টাকা চাওয়া হয়। টাকা না দিলে হত্যা মামলায় নাম দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়। টাকা না দেওয়ায় ওইদিনই গাছা থানার মামলায় তাকে ২৮ নম্বর আসামি করা হয়েছে। মামলাটি যখন ড্রাফট করা হয় তখন এতে আসামির সংখ্যা ছিল ১৪৫ জন। পরবর্তীতে ওই মামলাই যখন থানায় নথিভুক্ত করা হয় তখন ৪০ জনের নাম বাদ দিয়ে আসামির সংখ্যা হয়ে যায় ১০৫ জন।
এছাড়াও এ মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে ১৫০-২০০ জনকে। গত ২৩ সেপ্টেম্বর ১৮ নম্বর মামলাটি গাছা থানায় নথিভুক্ত করেন ওই থানার ওসি আলী মোহাম্মদ রাশেদ। ওই থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সহিংসতার ঘটনায় একটি হত্যাসহ মোট ৯টি মামলা রুজু হয়েছে। এমনভাবে গাজীপুরের মোট ১৩টি থানায়ই কমবেশি মামলা রুজু হয়েছে। এসব মামলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ছাড়াও বিএনপি কর্মী, ছাত্র-শিক্ষক, সাংবাদিকসহ শত শত মানুষের নাম পড়েছে।
আরিফুর রহমান নামে স্থানীয় যুবক যুগান্তরকে জানান, বাদী হিসেবে মোস্তাকিন মামলায় উল্লেখ করেন তার হাঁটুর উপরে গুলি লেগেছে। অথচ তিনি একজন সুস্থ মানুষ। তার হাঁটুতে গুলির কোনো আলামত নেই। শুধু মামলা দিয়ে টাকা খাওয়ার জন্য তাকে ব্যবহার করা হয়েছে। ওই মামলায় বাদী মোস্তাকিনের যে মোবাইল নম্বর দেওয়া আছে তাতে একাধিকবার কল দিয়ে কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি।
গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আলী মোহাম্মদ রাশেদ বলেন, মামলার গ্রহণের পূর্বে প্রাথমিক তদন্ত করা হয়। মামলার বাদী মোস্তাকিনের হাঁটুতে গুলি লেগেছে কি না আমি বরতে পারব না। এটি তদন্ত কর্মকর্তা ভালো বলতে পারবেন। তবে, মামলার এজাহারের সঙ্গে কোনো মেডিকেল সার্টিফিকেট জমা দেওয়া হয় নাই।
উল্লেখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে রুবেল সরকারের ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরে কল করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করে কথা না বলেই তার স্ত্রীর কাছে দিয়ে দেন। এ সময় রুবেল সরকারের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি দিচ্ছি বলে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার ফোন করা হলেও ওই প্রান্ত থেকে কেউ ফোনকল রিসিভ করেননি।