সাভার উপজেলার আলমনগর সেটেলমেন্ট অফিসের সার্ভেয়ার বিপ্লব কুমারের বিরুদ্ধে দারুসসালাম থানার পাশেই ২/১ গোলারটেক-এর খান সাহেবের বাড়ির ২য় তলায় অর্থ লেনদেনের অফিস তৈরি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। অফিসে গিয়ে দেখা যায়, তুরাগ মৌজার ভাকুরতা ইউনিয়নের ম্যাপসহ অন্যান্য জরুরি কাগজ সারা রুম জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। তুরাগ মৌজার ভূমি জরিপের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সার্ভেয়ার ছিলেন বিপ্লব কুমার। ভূমি জরিপের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের অফিস থাকার কথা সেই ইউনিয়ন বা উপজেলা অফিসে। কিন্তু সার্ভেয়ার বিপ্লব কুমার দুর্নীতিকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য অফিস করেছেন দারুসসালাম থানা এলাকায়। অফিস চলে গভীর রাত পর্যন্ত। অফিসে নিয়োজিত আছে তারই নিয়োগকৃত সার্ভেয়ার মিসকাত, সার্ভেয়ারের সহকারী নোমান ও অফিস সহকারী শফিকুল। ঘুষ লেনদেন সম্পর্কিত দুইটি ভিডিও এর মধ্যেই আমাদের হাতে এসেছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, তুরাগ মৌজার একজন বয়োজেষ্ঠ ভদ্রলোক এসেছেন পাঁচ কাঠা জমির পর্চা নিতে। সার্ভেয়ার বিপ্লবের কথা অনুযায়ী তার ব্যক্তিগত অফিসে ৩০ হাজার টাকা নিয়ে আসেন বলে প্রতিবেদককে জানান ঐ বয়োজেষ্ঠ ভদ্রলোক। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, মিসকাত নামীয় সার্ভেয়ার পরিচয় দিয়ে সাভার থেকে আগত এক মুরব্বি ভদ্রলোকের সাথে কথা বলছেন। একটি খাস জমি দখল সূত্রে তার নামে করে নিবেন বলে এসেছেন মানিক নামের সার্ভেয়ার বিপ্লবের খাস লোকের মাধ্যমে। সার্ভেয়ার পরিচয় দানকারী মিসকাতকে বলতে শোনা যায়, আমরা এখানে বসে লক্ষ লক্ষ টাকা নিচ্ছি আর আপনি ২০ হাজার টাকা দিতে চাইছেন না। তখন ভদ্রলোককে বলতে শোনা যায়, আপনারা তো ৬০/৭০ হাজার টাকা এমনকি ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা ও ১ লক্ষ ৭০ হাজার টাকাও নিয়েছেন। কথোপকথনে সার্ভেয়ার পরিচয় দানকারী মিসকাতকে বেশ উৎফুল্ল দেখা যায়।
এ বিষয়ে মিসকাত-এর সাথে ফোনে কথা হলে নিজেকে সার্ভেয়ার পরিচয় দিয়ে অনুরোধ করেন নিউজ না করতে। প্রতিবেদককে ম্যানেজ করতে অনুনয়-বিনয় করেন এবং বিকাশ ও নগদ নম্বর চান।
এ বিষয়ে সার্ভেয়ার বিপ্লবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সব মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ থাকলে আপনি নিউজ করেন। কথিত সার্ভেয়ার মিসকাত-এর সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, ‘মিসকাত আমার বাসার রান্নার লোক। রান্না ও কাজ করেন। আপনার বাসার রান্না ও কাজের লোক সার্ভেয়ার পরিচয় দিয়ে ঘুষ লেনদেন কিভাবে করে?-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা তার ব্যাপার।
এ বিষয়ে সাভার আলমনগর অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার সুশান্ত কুমার রায় বলেন, কোন অফিসারের অফিসের বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই। যদি কেউ বাসা ভাড়া নিয়ে কাজ করে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। মিসকাত সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, মিসকাত নামে আমাদের অফিসে কোন লোক নেই। কেউ যদি অফিসের পরিচয় দিয়ে চলে আমার কি করার আছে।
আলমনগর সেটেলমেন্ট অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছে, সার্ভেয়ার বিপ্লবের অর্থ কেলেংকারী ও দুর্নীতির কারণে তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে কেরানীগঞ্জে।
এ বিষয়ে মিসকাত-এর সাথে ফোনে কথা হলে নিজেকে সার্ভেয়ার পরিচয় দিয়ে অনুরোধ করেন নিউজ না করতে। প্রতিবেদককে ম্যানেজ করতে অনুনয়-বিনয় করেন এবং বিকাশ ও নগদ নম্বর চান।
এ বিষয়ে সার্ভেয়ার বিপ্লবের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সব মিথ্যা। আমার বিরুদ্ধে কোন প্রমাণ থাকলে আপনি নিউজ করেন। কথিত সার্ভেয়ার মিসকাত-এর সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, ‘মিসকাত আমার বাসার রান্নার লোক। রান্না ও কাজ করেন। আপনার বাসার রান্না ও কাজের লোক সার্ভেয়ার পরিচয় দিয়ে ঘুষ লেনদেন কিভাবে করে?-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সেটা তার ব্যাপার।
এ বিষয়ে সাভার আলমনগর অফিসের সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার সুশান্ত কুমার রায় বলেন, কোন অফিসারের অফিসের বাইরে কাজ করার সুযোগ নেই। যদি কেউ বাসা ভাড়া নিয়ে কাজ করে সেটা তার নিজস্ব ব্যাপার। মিসকাত সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, মিসকাত নামে আমাদের অফিসে কোন লোক নেই। কেউ যদি অফিসের পরিচয় দিয়ে চলে আমার কি করার আছে।
আলমনগর সেটেলমেন্ট অফিস সূত্র নিশ্চিত করেছে, সার্ভেয়ার বিপ্লবের অর্থ কেলেংকারী ও দুর্নীতির কারণে তাকে শাস্তিমূলক বদলি করা হয়েছে কেরানীগঞ্জে।