ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের অনুগত নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের বিরুদ্ধে ১৩ দফা অভিযোগ ও ৫ দফা সুপারিশ সম্বলিত অভিযোগ জমা দিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশন। ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রকল্পের কাজে অনিয়ম, দুর্নীতি এবং শাস্তির দাবিসহ অফিসের কর্মকর্তা জোরপূর্বক কাজে লাগাতে বাধ্য করার ও হয়রানির প্রতিকার চেয়ে নৌ-মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ও সচিবকে এই লিখিত অভিযোগ প্রদান করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে দেয়া অভিযোগে বলা হয়, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার বাহিনী দৃষ্কৃতিকারী সদস্যদের নিয়ে যেই হাইব্রিড রেজিম কায়েম করেছিলেন আসছিলেন ডিজি ও নৌপরিবহণ মন্ত্রনালয়ে কর্মরত নৌবাহিনীর কিছু কর্মকর্তারা। এদের মধ্যে একমাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল সোহাইলকে গ্রেফতার করা হলেও বাকিরা এখনো বহাল তবিয়তে সেই প্রতিষ্ঠান গুলোতে রাজত্ব করে যাচ্ছেন । নৌবাহিনী থেকে ডেপুটেশন আসা এসব কর্মকর্তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট ও বিদেশে পাচার করেছেন। নৌবাহিনীর কর্মকর্তা এভাবে ডেপুটেশনে আসায় যুদ্ধ ভুলে গিয়ে দেশ প্রেমিক বাহিনী থেকে ক্যাশ প্রেমিক বাহিনীতে পরিণত হয়েছে যা গত ফ্যাসিবাদী সরকারের অন্যতম এজেন্ডা ছিলো। এসব ডেপুটেশনে আসা এসব কর্মকর্তাকে বাহিনীতে ফেরত নিয়ে কোর্ট মার্শালের মাধ্যমে বিচার করে উপযুক্ত শাস্তি দাবি জানিয়েছেন ট্রেড ইউনিয়ন। এ বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সঞ্জয় কুমার বণিক বলেন, বাংলাদেশী মেরিন অফিসারদের নিয়ে গঠিত ট্রেড ইউনিয়ন থেকে যে অভিযোগ করা হয়েছে সেটি উপদেষ্টা মহাদ্বয় দেখবেন। নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেনি। বাংলাদেশী মেরিন অফিসারদের একমাত্র পেশাগত সংগঠন আইটিএফ এর একটি অঙ্গ সংগঠন এবং আইএমইসি ও আইবিএফ কর্তৃক স্বীকৃত। এসোসিয়েশনটি প্রায় ১২ হাজারের অধিক বাংলাদেশী মেরিন অফিসার ও ইঞ্জিনিয়ার এর প্রতিনিধিত্ব করে থাকে যারা বিশ্ব বাণিজ্য পরিবহনে সর্বদাই সম্মুখ যোদ্ধা। বাংলাদেশী নাবিক তথা মেরিনাররা কাজ করছেন দেশ বিদেশের বহু স্বনামধন্য শিপিং কোম্পানিতে, সমুদ্র তথা বিশ্বের বুকে স্বগর্বে মেলে ধরছেন লাল সবুজের পতাকা, প্রতিনিধিত্ব করছেন বাংলাদেশকে, দেশের জন্য বয়ে আনছেন বছরে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি বৈদেশিক মুদ্রা যা সরাসরি ব্যাংকিং চ্যানেল-এর মাধ্যমে বৈধ উপায়ে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে আসে। বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশন নাবিকদের পক্ষ হয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় এবং নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সকল ধরনের সভাসহ যে কোন প্রয়োজনীয় দপ্তর বা ফোরামে যোগদান করে ন্যায্য দাবিসমূহ উপস্থাপন এবং মেরিনারদের কল্যাণার্থে ও দেশের মেরিটাইম সেক্টরের উন্নতির লক্ষ্যে ন্যায়সম্মত কাজ করে থাকে। এর ধারাবাহিকতায় বিগত এক যুগে মেরিন সেক্টরে নানাবিধ সমস্যার উদ্ভব হয়েছে, যা আমরা বিভিন্ন সময়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিগোচরে এনেছি। কিন্তু আমাদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা এখনও কার্যকরভাবে সমাধান করা হয়নি। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমাদের দেশে যে নতুন সূর্য উদিত হয়েছে এতে অনুপ্রাণিত হয়ে মেরিন সেক্টরের অন্যতম অংশীদার হিসেবে এই সেক্টরের সিস্টেমেটিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের সমস্যা তুলে ধরা হয়। মহাপরিচালক, নৌপরিবহন অধিদপ্তর এর সাম্প্রতিক পত্র মোতাবেক ডেপুটেশন/প্রেষণ-এর মাধ্যমে অধিদপ্তরের অভ্যন্তরে শূন্য পদ পূরণে বাস্তব বিবর্জিত উদ্যোগে আমরা আশাহত হয়েছি। উত্থাপিত শূন্য পদগুলো পূরণ জরুরি হলেও প্রস্তাবিত সমাধান কার্যকরভাবে মূল সমস্যাগুলোর সমাধান করতে পারবে না। ৪৬ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন মেরিটাইম পেশাদার হিসাবে এবং বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি হিসাবে দায়িত্ব পালন করার জন্য আমি নৌপরিবহন অধিদপ্তরে টেকসই উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধির জন্য বর্তমান পদ্ধতির একটি বিশদ সমালোচনা এবং সুপারিশ দিতে চাই। প্রযুক্তিগত ভূমিকায় মেরিটাইম পেশাদারদের প্রয়োজনীয়তা,দক্ষতা এবং প্রশিক্ষণের সুযোগের ক্ষতি, সাংগঠনিক দক্ষতা বৃদ্ধি, অধিদপ্তরের মধ্যে যোগ্য কর্মকর্তাদের পদোন্নতি,বেকারত্ব মোকাবেলা, ভবিষ্যত মেরিটাইম সেক্টরে নেতৃত্ব তৈরি, প্রতিবেশী দেশ থেকে প্রশিক্ষণ দেয়া, চ্যালেঞ্জিং ও সমালোচনামূলক কাজের জন্য মেরিটাইম পেশাদারদের উপর নির্ভর করা এবং সেরকারি খাতে সেক্টরে সমান সুযোগ দিতে হবে।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি সংস্থা যেমন এস আর শিপিং/ কবির স্টিল মিলস ২৫টি জাহাজ পরিচালনা এবং মেঘনা গ্রুপ ২৪টি জাহাজ পরিচালনা সামুদ্রিক পেশাজীবীদের দ্বারা পরিচালিত হয়। একইভাবে, সমস্ত শ্রেণিবিন্যাস সমিতি, বড় শিপইয়ার্ড, শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড এবং শীর্ষ শিপিং কোম্পানিগুলো সামুদ্রিক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত হয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি মেরিটাইম পেশাদাররা সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়শিয়া, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ইত্যাদি দেশকে বৈশ্বিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করে অবদান রাখছেন। এটি প্রযুক্তিগত বিভাগে মেরিটাইম পেশাদারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ দেয়, আমাদের অবস্থানকে আরও ন্যায্যতা দেয়।
বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি সংস্থা যেমন এস আর শিপিং/ কবির স্টিল মিলস ২৫টি জাহাজ পরিচালনা এবং মেঘনা গ্রুপ ২৪টি জাহাজ পরিচালনা সামুদ্রিক পেশাজীবীদের দ্বারা পরিচালিত হয়। একইভাবে, সমস্ত শ্রেণিবিন্যাস সমিতি, বড় শিপইয়ার্ড, শিপ রিসাইক্লিং ইয়ার্ড এবং শীর্ষ শিপিং কোম্পানিগুলো সামুদ্রিক বিশেষজ্ঞদের দ্বারা পরিচালিত হয়। উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বাংলাদেশি মেরিটাইম পেশাদাররা সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়শিয়া, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য ইত্যাদি দেশকে বৈশ্বিকভাবে প্রতিনিধিত্ব করে অবদান রাখছেন। এটি প্রযুক্তিগত বিভাগে মেরিটাইম পেশাদারদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রয়োজনীয়তার উদাহরণ দেয়, আমাদের অবস্থানকে আরও ন্যায্যতা দেয়।