
মণ্ডপে মণ্ডপে পুরোদমে চলছে বাঙালি হিন্দুধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার প্রস্তুতি। প্রায় সব মণ্ডপে প্রতিমার কাঠামো তৈরি হয়ে গেছে। এখন চলছে রং-তুলির আঁচড় দেওয়ার কাজ। কোনো কোনো মণ্ডপের প্রতিমা পুরোপুরি প্রস্তুতও হয়ে গেছে। মণ্ডপ তৈরি, আলোকসজ্জা ও সাজসজ্জার কাজও চলছে পুরোদমে। গতকাল শুক্রবার রাজধানীর তিনটি মণ্ডপ ঘুরে ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে এমন চিত্র পাওয়া গেছে।
গত বুধবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার দেবীর বোধন। পরদিন বুধবার দুর্গা দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও বিহিতপূজা হবে। বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত।
রাজধানীর রমনা কালীমন্দির প্রাঙ্গণেও প্রতিবছরের মতো এবারও দুর্গাপূজার আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। গতকাল সন্ধ্যায় দেখা যায়, প্রতিমার অবকাঠামো তৈরি হয়ে গেছে। এখন চলছে রং করার কাজ।
১৪ বছর ধরে রমনার প্রতিমা তৈরির কাজ করেন রতন পাল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিমা রং করা শুরু করেছেন। সোমবারের মধ্যে রং করা, বস্ত্র পরিধানসহ প্রতিমা তৈরির যাবতীয় কাজ শেষ করার আশা তাঁর।
রমনা কালীমন্দির প্রাঙ্গণে এই মণ্ডপ ছাড়াও রাজধানীর কলাবাগান, মণিপুরিপাড়া, তেজকুনীপাড়া, শাহীনবাগ ও আজিমপুর মণ্ডপের প্রতিমা তৈরি করছেন রতন পাল। প্রতিমা পুরোপুরি প্রস্তুত শেষে সেসব মণ্ডপে মণ্ডপে পৌঁছে দেবেন। তিনি ঢাকাসহ নীলফামারী, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, বরিশাল, নড়াইল ও মাদারীপুরে মোট ১১টি প্রতিমা তৈরি করছেন। গত বছর ১৬টি প্রতিমা তৈরি করেছিলেন।
রতন পাল বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার তিনি কম প্রতিমা তৈরি করছেন। সেই সঙ্গে প্রতিমা তৈরির মজুরিও এবার অনেক কম।
রাজধানীর খামারবাড়িতে ৩৩ বছর ধরে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছে সনাতন সমাজকল্যাণ সংঘ নামের একটি সংগঠন। এবারও সংগঠনটি দুর্গাপূজার আয়োজন করেছে। গতকাল বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, আলোকসজ্জা ও মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে।
সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশীষ দে প্রথম আলোকে বলেন, এবার তাঁদের প্রতিমা তৈরি হচ্ছে ঢাকার ধামরাই উপজেলায়। প্রতিমা প্রস্তুত হয়ে গেছে।
অন্যান্য বছর রাজধানীর অন্যতম জাঁকজমকপূর্ণ দুর্গাপূজার মণ্ডপ হিসেবে খামারবাড়ির এই মণ্ডপ আলোচনায় থাকে। তবে আয়োজকেরা জানান, এবার দেশে অস্থিরতার কারণে সাদামাটাভাবে সাজানো হচ্ছে মণ্ডপ। কারণ, প্রতিবছর দুর্গাপূজা শুরুর সাড়ে তিন মাস আগে কাজ শুরু হয়ে যায়। এবার তা সম্ভব হয়নি। শুরুতে অর্থের সংস্থানও হচ্ছিল না। তবে এখন অনেকেই অর্থ দিতে চাইছেন।
রাজধানীর কলাবাগান মাঠেও এবার দুর্গাপূজা হচ্ছে। সেখানে মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি দুর্গাপূজা হয়। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ছিল ২৪৫। তবে সারা দেশ ও ঢাকায় এবার কত পূজা হচ্ছে, তা এখনো জানায়নি পূজা উদ্যাপন পরিষদ।
গত বুধবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার দেবীর বোধন। পরদিন বুধবার দুর্গা দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও বিহিতপূজা হবে। বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পূজিত।
রাজধানীর রমনা কালীমন্দির প্রাঙ্গণেও প্রতিবছরের মতো এবারও দুর্গাপূজার আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। গতকাল সন্ধ্যায় দেখা যায়, প্রতিমার অবকাঠামো তৈরি হয়ে গেছে। এখন চলছে রং করার কাজ।
১৪ বছর ধরে রমনার প্রতিমা তৈরির কাজ করেন রতন পাল। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, বৃহস্পতিবার থেকে প্রতিমা রং করা শুরু করেছেন। সোমবারের মধ্যে রং করা, বস্ত্র পরিধানসহ প্রতিমা তৈরির যাবতীয় কাজ শেষ করার আশা তাঁর।
রমনা কালীমন্দির প্রাঙ্গণে এই মণ্ডপ ছাড়াও রাজধানীর কলাবাগান, মণিপুরিপাড়া, তেজকুনীপাড়া, শাহীনবাগ ও আজিমপুর মণ্ডপের প্রতিমা তৈরি করছেন রতন পাল। প্রতিমা পুরোপুরি প্রস্তুত শেষে সেসব মণ্ডপে মণ্ডপে পৌঁছে দেবেন। তিনি ঢাকাসহ নীলফামারী, গোপালগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, বরিশাল, নড়াইল ও মাদারীপুরে মোট ১১টি প্রতিমা তৈরি করছেন। গত বছর ১৬টি প্রতিমা তৈরি করেছিলেন।
রতন পাল বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার তিনি কম প্রতিমা তৈরি করছেন। সেই সঙ্গে প্রতিমা তৈরির মজুরিও এবার অনেক কম।
রাজধানীর খামারবাড়িতে ৩৩ বছর ধরে দুর্গাপূজার আয়োজন করে আসছে সনাতন সমাজকল্যাণ সংঘ নামের একটি সংগঠন। এবারও সংগঠনটি দুর্গাপূজার আয়োজন করেছে। গতকাল বিকেলে গিয়ে দেখা যায়, আলোকসজ্জা ও মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে।
সংগঠনটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশীষ দে প্রথম আলোকে বলেন, এবার তাঁদের প্রতিমা তৈরি হচ্ছে ঢাকার ধামরাই উপজেলায়। প্রতিমা প্রস্তুত হয়ে গেছে।
অন্যান্য বছর রাজধানীর অন্যতম জাঁকজমকপূর্ণ দুর্গাপূজার মণ্ডপ হিসেবে খামারবাড়ির এই মণ্ডপ আলোচনায় থাকে। তবে আয়োজকেরা জানান, এবার দেশে অস্থিরতার কারণে সাদামাটাভাবে সাজানো হচ্ছে মণ্ডপ। কারণ, প্রতিবছর দুর্গাপূজা শুরুর সাড়ে তিন মাস আগে কাজ শুরু হয়ে যায়। এবার তা সম্ভব হয়নি। শুরুতে অর্থের সংস্থানও হচ্ছিল না। তবে এখন অনেকেই অর্থ দিতে চাইছেন।
রাজধানীর কলাবাগান মাঠেও এবার দুর্গাপূজা হচ্ছে। সেখানে মণ্ডপ তৈরির কাজ চলছে।
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর সারা দেশে ৩২ হাজার ৪০৮টি দুর্গাপূজা হয়। ঢাকা মহানগরে পূজার সংখ্যা ছিল ২৪৫। তবে সারা দেশ ও ঢাকায় এবার কত পূজা হচ্ছে, তা এখনো জানায়নি পূজা উদ্যাপন পরিষদ।