হাতিয়া কুতুবদিয়া দ্বীপ ও নিঝুমদ্বীপে শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের প্রথমফেজের ৩৯০ কোটি টাকার কাজে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতি পরিলক্ষিত হয়েছে। হাতিয়া কুতুবদিয়া নিঝুম দ্বীপের শতভাগ বিদ্যুতায়ন প্রকল্পের অধীনে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়েছে কুতুবদিয়া। কুতুবদিয়াকে বিদ্যুতের জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করতে সাগরের তলদেশ দিয়ে ২ লেনে ৫ কিলোমিটার কেবল বসানো হয়েছে। ১২ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন উপকেন্দ্রে ১৪৮৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা হবে। হাতিয়াতে ১১৬৫ কি.মি. নিঝুমদ্বীপে ৮৭কি.মি. কুতুবদিয়া ২৩৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন স্থাপন করা কথা রয়েছে। প্রকল্পটির আওতায় নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপে ৩টি সাবস্টেশন নির্মাণের কাজ শেষ পর্যায়ে আছে।
হাতিয়া থেকে ১১ কেভি সাবমেরিন লাইনের মাধ্যমে নিঝুম দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় । হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ সাইড এবং জাহাজমারা ঘাটের উভয় পার্শ্বের সুইচিং স্টেশনের মেশিন অকেজো হয়ে পরে আছে। স্হানীয় লোকমুখে গুঞ্জন আছে নিম্নমানের মেশিন সুইচিং স্টেশনের কাজ সম্পন্ন করেছে।
যা এখন অনেকটা অকেজো হয়ে পড়ে আছে। দুইটা সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনে খরচ দেখানো হয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। মুলত ৫ কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের বাজার মূল্য ৪০ কোটি টাকার বেশি না। ৩ গুনমূল্য দেখিয়ে স্থাপন করা সাবমেরিন ক্যাবল ঝুঁকিপূর্ন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। নামমাত্র কাজ দেখিয়ে টাকা ভাগাভাগির মহা উৎসবে মেতেছে পি ডি ফারুক আহমেদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হান।
প্রকল্পের জন্য ইলেকট্রিক পোল বরাদ্দ ২৩ হাজার পিচ। হাতিয়ায় বিশ হাজার পিচ, কুতুবদিয়া তিন হাজার পিচ পোল বরাদ্দ রয়েছে। থিকনেস কম দিয়ে কোনো মতে রং করা ১২০ কোটি টাকার নিম্নমানের বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্রয় করে। এখানেও পছন্দের ঠিকাদারের সাথে ভাগবাটোয়ারাতে মেতে ওঠে।
নিম্নমানের ৩ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক দুই হাজার পিচ সার্কিট ব্রেকার ক্রয় করেন যা রোদবৃষ্টিতে ভিজে ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। ভাউচারে বেশি দাম দেখিয়ে কিনেছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার নিম্ন মানের ব্রেকার। কোনটাই ব্যবহার করতে পারে নাই। যা হাতিয়া কুতুবদিয়ায় এলোমেলো ভাবে ফেলে রেখেছেন। সরকারি খাতায় দেখানো কোটি কোটি টাকার যন্ত্রাংশ যা ভাগাভাগির মধ্যে সীমাবদ্ধ।
১৫০ কোটি টাকার যেসব বৈদ্যুতিক ক্যাবল ক্রয় করেছেন তা যেনো সুভংকরের ফাঁকি। যাতে নিম্নমানের আয়রন মিশ্রিত এ্যালুমেনিয়াম ও কপার ব্যবহার করা হয়েছে, যা কোনো ভাবেই সাধারণ মানুষের বুঝা সম্ভব নয়। বিবিএস ক্যাবল কোম্পানির জিএম এর সাথে যোগসাজশ করে এসব বৈদ্যুতিক ক্যাবল ক্রয় করা হয়। পিডি ফারুক আহমেদ কোম্পানির জিএম এর গোপন ফর্মূলায় কাজগুলো হালাল করে নিয়েছেন। যা টেন্ডারের ডকুমেন্টসের মেটালিক স্পেসিফিকিশানের সাথে মিল নাই।
সরেজমিনে দেখা যায় হাতিয়া কুতুবদিয়ার ৬০% বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে সিমেন্টের কোনো ঢালাই দেওয়া নাই। ৭০% খুঁটিতে কোন আর্থিং নাই। যা আছে তাও অকেজো, প্রতিনিয়ত গরু ছাগল মারা যাচ্ছে।
কাজ শেষ না করেই তার বাল্য বন্ধু দুই ঠিকাদারকে ১০০% বিল প্রদান করেছেন।
এভাবে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১০০ কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন।
হাতিয়া এমপি মোহাম্মদ আলীকে দিয়ে নিজের ১০ কোটি টাকার ২ টা বিল্ডিং করেছেন, যেগুলোতে পুরনো ব্রিজ ভাঙ্গা রড ব্যবহার করায় নতুন বিল্ডিং এর ছাঁদ ভেঙ্গে পানি পরে। ভবন দুটিতে কোটি টাকার ফার্নিচার ক্রয় করেছে, যেগুলো কাঠের নয় একধরনের কাগজের তৈরি, নিম্নমানের সোফা,চেয়ার খাট।
প্রজেক্ট ডিরেক্টর প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ ক্রয় করে নিজে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। হাতিয়া দ্বীপের বিনা ভোটের এমপি জলদস্যু মোহাম্মদ আলী যাতে পিডি ফারুক আহমেদকে কোনোকিছু না বলে তারজন্য তাকেও ১০ কোটি টাকার কাজ দিয়ে তাঁর মুখ বন্ধ করিয়ে দেন।
বিতরণ লাইনের স্থাপনের জন্য ইন্টু করপোরেশন এবং ইস্ট্রান ইলেকট্রিক দুইটা কোম্পানি কে কাজ প্রদান করে।
কাজ ৩০% অসম্পূর্ণ থাকা সত্বেও ১০০% বিল প্রদান করেছেন। বিগত স্বৈরাচার হাসিনার সরকার পতন হওয়ার পর বাংলাদেশের লাইভ টেন্ডারের সময়সীমা বৃদ্ধি করলেও পিডিবির দরবেশ খ্যাত প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ এবং নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হান সাহেব তাদের সাজানো ২ টা কোম্পানিকে কাজ দেওয়ার জন্য টেন্ডারের সময়সীমা বৃদ্ধি করেন নাই এবং যথারীতি তাদের পছন্দের সাজানো ঠিকাদারী কোম্পানি ২ ইস্টার্ন এবং ইন্টু করপোরেশন নামের কোম্পানি দুটিকেই কাজ দিয়েছেন।
দ্বিতীয় ফেজের ২৬০ কোটি টাকা নতুন বরাদ্দ পেয়েছে যা ২০০ দুইশত কোটি টাকার মালামাল ক্রয় করেছেন তার হিসাবেও গড়মিল রয়েছে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের টাংগাইলের একজন ঠিকাদারের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি টাঙ্গাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মকালীন সময়ে ২ ট্রাক সরকারী ইলেকট্রিক ক্যাবল ট্রান্সফরমার চুরি করে বিক্রির দ্বায়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ইএডিতে মামলা হয়। শাস্তি হিসেবে তাঁর ইনক্রিমেন্ট ও সিনিয়রিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ পরবর্তীতে সদ্য সাবেক বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ২ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে ইএনডি মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে নেন।
এবিষয়ে পিডি ফারুক আহমেদকে বার বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এমন কি ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোন জবাব পাওয়া যায়নি।
হাতিয়া থেকে ১১ কেভি সাবমেরিন লাইনের মাধ্যমে নিঝুম দ্বীপে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় । হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ সাইড এবং জাহাজমারা ঘাটের উভয় পার্শ্বের সুইচিং স্টেশনের মেশিন অকেজো হয়ে পরে আছে। স্হানীয় লোকমুখে গুঞ্জন আছে নিম্নমানের মেশিন সুইচিং স্টেশনের কাজ সম্পন্ন করেছে।
যা এখন অনেকটা অকেজো হয়ে পড়ে আছে। দুইটা সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনে খরচ দেখানো হয়েছে ১৩০ কোটি টাকা। মুলত ৫ কিলোমিটার সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপনের বাজার মূল্য ৪০ কোটি টাকার বেশি না। ৩ গুনমূল্য দেখিয়ে স্থাপন করা সাবমেরিন ক্যাবল ঝুঁকিপূর্ন ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। নামমাত্র কাজ দেখিয়ে টাকা ভাগাভাগির মহা উৎসবে মেতেছে পি ডি ফারুক আহমেদ ও নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হান।
প্রকল্পের জন্য ইলেকট্রিক পোল বরাদ্দ ২৩ হাজার পিচ। হাতিয়ায় বিশ হাজার পিচ, কুতুবদিয়া তিন হাজার পিচ পোল বরাদ্দ রয়েছে। থিকনেস কম দিয়ে কোনো মতে রং করা ১২০ কোটি টাকার নিম্নমানের বৈদ্যুতিক খুঁটি ক্রয় করে। এখানেও পছন্দের ঠিকাদারের সাথে ভাগবাটোয়ারাতে মেতে ওঠে।
নিম্নমানের ৩ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক দুই হাজার পিচ সার্কিট ব্রেকার ক্রয় করেন যা রোদবৃষ্টিতে ভিজে ইতোমধ্যে নষ্ট হয়ে গেছে। ভাউচারে বেশি দাম দেখিয়ে কিনেছে ৬০০ থেকে ৭০০ টাকার নিম্ন মানের ব্রেকার। কোনটাই ব্যবহার করতে পারে নাই। যা হাতিয়া কুতুবদিয়ায় এলোমেলো ভাবে ফেলে রেখেছেন। সরকারি খাতায় দেখানো কোটি কোটি টাকার যন্ত্রাংশ যা ভাগাভাগির মধ্যে সীমাবদ্ধ।
১৫০ কোটি টাকার যেসব বৈদ্যুতিক ক্যাবল ক্রয় করেছেন তা যেনো সুভংকরের ফাঁকি। যাতে নিম্নমানের আয়রন মিশ্রিত এ্যালুমেনিয়াম ও কপার ব্যবহার করা হয়েছে, যা কোনো ভাবেই সাধারণ মানুষের বুঝা সম্ভব নয়। বিবিএস ক্যাবল কোম্পানির জিএম এর সাথে যোগসাজশ করে এসব বৈদ্যুতিক ক্যাবল ক্রয় করা হয়। পিডি ফারুক আহমেদ কোম্পানির জিএম এর গোপন ফর্মূলায় কাজগুলো হালাল করে নিয়েছেন। যা টেন্ডারের ডকুমেন্টসের মেটালিক স্পেসিফিকিশানের সাথে মিল নাই।
সরেজমিনে দেখা যায় হাতিয়া কুতুবদিয়ার ৬০% বৈদ্যুতিক খুঁটির নিচে সিমেন্টের কোনো ঢালাই দেওয়া নাই। ৭০% খুঁটিতে কোন আর্থিং নাই। যা আছে তাও অকেজো, প্রতিনিয়ত গরু ছাগল মারা যাচ্ছে।
কাজ শেষ না করেই তার বাল্য বন্ধু দুই ঠিকাদারকে ১০০% বিল প্রদান করেছেন।
এভাবে প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় ১০০ কোটি হাতিয়ে নিয়েছেন।
হাতিয়া এমপি মোহাম্মদ আলীকে দিয়ে নিজের ১০ কোটি টাকার ২ টা বিল্ডিং করেছেন, যেগুলোতে পুরনো ব্রিজ ভাঙ্গা রড ব্যবহার করায় নতুন বিল্ডিং এর ছাঁদ ভেঙ্গে পানি পরে। ভবন দুটিতে কোটি টাকার ফার্নিচার ক্রয় করেছে, যেগুলো কাঠের নয় একধরনের কাগজের তৈরি, নিম্নমানের সোফা,চেয়ার খাট।
প্রজেক্ট ডিরেক্টর প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ ক্রয় করে নিজে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। হাতিয়া দ্বীপের বিনা ভোটের এমপি জলদস্যু মোহাম্মদ আলী যাতে পিডি ফারুক আহমেদকে কোনোকিছু না বলে তারজন্য তাকেও ১০ কোটি টাকার কাজ দিয়ে তাঁর মুখ বন্ধ করিয়ে দেন।
বিতরণ লাইনের স্থাপনের জন্য ইন্টু করপোরেশন এবং ইস্ট্রান ইলেকট্রিক দুইটা কোম্পানি কে কাজ প্রদান করে।
কাজ ৩০% অসম্পূর্ণ থাকা সত্বেও ১০০% বিল প্রদান করেছেন। বিগত স্বৈরাচার হাসিনার সরকার পতন হওয়ার পর বাংলাদেশের লাইভ টেন্ডারের সময়সীমা বৃদ্ধি করলেও পিডিবির দরবেশ খ্যাত প্রকৌশলী ফারুক আহমেদ এবং নির্বাহী প্রকৌশলী রায়হান সাহেব তাদের সাজানো ২ টা কোম্পানিকে কাজ দেওয়ার জন্য টেন্ডারের সময়সীমা বৃদ্ধি করেন নাই এবং যথারীতি তাদের পছন্দের সাজানো ঠিকাদারী কোম্পানি ২ ইস্টার্ন এবং ইন্টু করপোরেশন নামের কোম্পানি দুটিকেই কাজ দিয়েছেন।
দ্বিতীয় ফেজের ২৬০ কোটি টাকা নতুন বরাদ্দ পেয়েছে যা ২০০ দুইশত কোটি টাকার মালামাল ক্রয় করেছেন তার হিসাবেও গড়মিল রয়েছে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ বিভাগের টাংগাইলের একজন ঠিকাদারের মাধ্যমে জানা যায়, তিনি টাঙ্গাইলে নির্বাহী প্রকৌশলী হিসেবে কর্মকালীন সময়ে ২ ট্রাক সরকারী ইলেকট্রিক ক্যাবল ট্রান্সফরমার চুরি করে বিক্রির দ্বায়ে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের ইএডিতে মামলা হয়। শাস্তি হিসেবে তাঁর ইনক্রিমেন্ট ও সিনিয়রিটি বন্ধ করে দেওয়া হয়৷ পরবর্তীতে সদ্য সাবেক বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানকে ২ কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে ইএনডি মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়ে নেন।
এবিষয়ে পিডি ফারুক আহমেদকে বার বার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি এমন কি ক্ষুদে বার্তা দিয়েও কোন জবাব পাওয়া যায়নি।