প্রথমে ঘরের কাজ করতেন। পরে নিয়োজিত হন ড্রাইভার হিসাবে। এতটাই বিশ্বস্ত হয়ে ওঠেন যে পরে তাকে পিএস (ব্যক্তিগত সহকারী) হিসাবে নিয়োগ দেন সিলেট-৪ আসনের সংসদ-সদস্য সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমেদ। এরপর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি জৈন্তাপুর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বিএনপিহীন নির্বাচনে জয়ী জৈন্তাপুর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান লিয়াকত আলীর। জৈন্তাপুর ও তামাবিলে গড়ে তোলেন ক্যাডার বাহিনী। তার বিরুদ্ধে জাফলং ও শ্রীপুর পাথরকোয়ারি দখল, দখলে নিয়ে হত্যা, সরকারি জমি দখল, তামাবিল স্থলবন্দরে প্রভাববিস্তার করে অবৈধভাবে বড় অঙ্কের অর্থ পকেটে ভরার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আর এভাবে ‘অর্জিত’ অর্থের প্রায় সবটুকুই তিনি দিনশেষে পাচার করতেন ভারতে। দেশের ব্যাংকে তিনি রাখতেন না তেমন কিছুই। এরপরও দেশে যেটুকু সম্পদ রয়েছে, সেটিও ধরা পড়ে দুদকের জালে। অবৈধ সম্পদ অর্জন আর জাল দলিলে সরকারি জমি দখলের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন তার বিরুদ্ধে দিয়েছিল অভিযোগপত্রও। কিন্তু ৫ আগস্ট সরকার পতনের আগ পর্যন্ত চাঁদাবাজি, দখল ও লুটপাট বন্ধ হয়নি তার। পাচার সহজ করতেই দেশে স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও ভারতের মেঘালয়ের এক খাসিয়া নারীকে বিয়ে করেন লিয়াকত আলী। সেই স্ত্রীর নামে সেখানে বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন তিনি। তার ব্যবসায়িক সহযোগী ও স্বজনরা বলছেন, ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে শতকোটি টাকার বেশি লগ্নি করেছেন লিয়াকত। সরকার পতনের পর অবৈধভাবে সেখানে পাড়ি দিয়েছেন তিনি।
কে এই লিয়াকত : জৈন্তাপুর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মতে, লিয়াকত আলীর বাবা ওয়াজিদ আলী টেনাই ছিলেন রাজাকার। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে কোনোরকম দিনাতিপাত করত তার পরিবার। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকায় লিয়াকত স্থানীয় একটি বিলের পাহারাদার হিসাবে কাজ করতেন। ১৯৯২ সালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে সেসময়ের সংসদ-সদস্য ইমরান আহমেদের হাতে তুলে দেন। লিয়াকতকে তখন বাসার কাজ দেওয়া হয়। পরে তিনি ইমরান আহমেদের গাড়িচালকের দায়িত্ব পান। ১৯৯৬ সালে ইমরান আহমেদের কৃপায় জৈন্তাপুর আওয়ামী লীগের কমিটিতে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। সেই থেকে আওয়ামী লীগে যাত্রা শুরু তার। ২০০৩ সালে তিনি ইমরান আহমেদের পিএসের দায়িত্ব পান। ২০১৫ সালে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান লিয়াকত আলী। এরপর বেপরোয়া হয়ে উঠেন লিয়াকত। ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২০০ বিঘা জমি থেকে প্রায় শতকোটি টাকার পাথর লুট করে নেয় তার বাহিনী। ২০১৭ সালের শেষদিকে শ্রীপুর পাথরকোয়ারি দখলে নিতে প্রবাসী খুনের মামলায় প্রধান আসামি করা হয় তাকে। যদিও প্রভাব খাটিয়ে নাম কাটিয়ে নেন চার্জশিট থেকে।
লুটপাটের যত অভিযোগ : ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। সেখানে দেওয়া হলফনামায় অষ্টম শ্রেণি পাশ উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি জাফলং আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পাশ করেছেন মর্মে একটি জাল প্রত্যয়নপত্রও হলফনামায় সংযুক্ত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, তার বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। কিন্তু ২০১০ সাল থেকে জাফলং পাথরকোয়ারি ধ্বংসের হোতা হিসাবে নিজেকে পরিণত করেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত চলে তার কর্তৃত্ব। তার নির্দেশে জাফলংয়ের পিয়াইন এবং ডাউকি নদীতে বসে কয়েক শ বোমা মেশিন। ৬০ থেকে ৮০ ফুট গর্ত করে পরিবেশ ধ্বংস করে এসব যন্ত্র দিয়ে পাথর উত্তোলনে সহায়তা করেন তিনি। বিনিময়ে যারা যন্ত্র ব্যবহার করেন, প্রতিদিন তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের টাকা। পাথর উত্তোলন মৌসুমে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করেছেন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ। কয়েক বছরেই হয়ে যান শতকোটি টাকার মালিক।
এরপর পাথরকোয়ারিতে প্রশাসন নজরদারি বাড়লে লিয়াকতের চোখ পড়ে তামাবিল স্থলবন্দরে। ২০১৭ সাল থেকে দলীয় প্রভাবে লিয়াকত আলী তামাবিল কয়লা ও চুনাপাথর সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর থেকে একচ্ছত্র চাঁদাবাজি চলে তার নেতৃত্বে। ব্যবসায়ীদের হিসাবমতে, স্থলবন্দরের লেবার হ্যান্ডলিং আর অবৈধ সুবিধা দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন যে চাঁদা আসে, এর সিংহভাগই যেত লিয়াকত আলীর পকেটে। শুধু স্থলবন্দর থেকে প্রতিমাসে প্রায় ৫০ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করতেন লিয়াকত আলী। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব টাকা দেশের কোনো ব্যাংকে রাখতেন না তিনি। ভারতে শ্বশুরবাড়িতে পাচার করেন তিনি। তাদের মতে, কয়েক বছরে শুধু তামাবিল স্থলবন্দর থেকেই অর্ধশত কোটি টাকা অবৈধভাবে হস্তগত করেছেন লিয়াকত আলী। তামাবিলের ব্যবসায়ীরা জানান, ২০১৯ সালের পর দেশে যেসব সম্পদ গড়েছেন, তাও নিজের অত্যন্ত বিশ্বস্ত দু-এক ব্যবসায়ীর নামে রয়েছে।
২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে মামলা করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান। পরে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিলেট জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেনকে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ইসমাইল। দুই কোটি ৭৩ লাখ ৯৫২ টাকার অবৈধ সম্পদ সংরক্ষণের অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতে থাকা সম্পদের কোনো তদন্তই হয়নি এ মামলায়।
জমি দখল : ভুয়া দলিল দেখিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের বাজারসংলগ্ন ৮ শতাংশ ভূমি দখল করেন, যার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। এখনো সেই জমি তার দখলে। এই অভিযোগে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত ও তৎকালীন সাবরেজিস্ট্রার বুরহান উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এখানেই শেষ নয়, স্থানীয় খাসিয়াদের জমি এখনো রয়েছে লিয়াকতের দখলে। তিনি পালিয়ে গেলেও তার অনুসারীদের ভয়ে মুখ খুলছেন না ভুক্তভোগীরা। এছাড়া জৈন্তাপুর উপজেলার সব জলমাহল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন লিয়াকত আলী।
লিয়াকতকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সিলেটের সচেতন নাগরিকরা। এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, লিয়াকত আলীর মতো ব্যক্তি যারা আঙুল ফলে কলাগাছ হয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় আনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে লিয়াকত আলী জাফলংয়ের পরিবেশ ধ্বংসের হোতা। জনশ্রুতি আছে তার সব অবৈধ টাকা ভারতে পাচার করেছে। তাকে আইনের আওতায় এনে এসব টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।
কে এই লিয়াকত : জৈন্তাপুর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মতে, লিয়াকত আলীর বাবা ওয়াজিদ আলী টেনাই ছিলেন রাজাকার। স্বাধীনতা-পরবর্তী সময়ে কোনোরকম দিনাতিপাত করত তার পরিবার। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা না থাকায় লিয়াকত স্থানীয় একটি বিলের পাহারাদার হিসাবে কাজ করতেন। ১৯৯২ সালে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা তাকে সেসময়ের সংসদ-সদস্য ইমরান আহমেদের হাতে তুলে দেন। লিয়াকতকে তখন বাসার কাজ দেওয়া হয়। পরে তিনি ইমরান আহমেদের গাড়িচালকের দায়িত্ব পান। ১৯৯৬ সালে ইমরান আহমেদের কৃপায় জৈন্তাপুর আওয়ামী লীগের কমিটিতে প্রচার সম্পাদকের দায়িত্ব পান তিনি। সেই থেকে আওয়ামী লীগে যাত্রা শুরু তার। ২০০৩ সালে তিনি ইমরান আহমেদের পিএসের দায়িত্ব পান। ২০১৫ সালে জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান লিয়াকত আলী। এরপর বেপরোয়া হয়ে উঠেন লিয়াকত। ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত ২০০ বিঘা জমি থেকে প্রায় শতকোটি টাকার পাথর লুট করে নেয় তার বাহিনী। ২০১৭ সালের শেষদিকে শ্রীপুর পাথরকোয়ারি দখলে নিতে প্রবাসী খুনের মামলায় প্রধান আসামি করা হয় তাকে। যদিও প্রভাব খাটিয়ে নাম কাটিয়ে নেন চার্জশিট থেকে।
লুটপাটের যত অভিযোগ : ২০০৯ সালের উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হন। সেখানে দেওয়া হলফনামায় অষ্টম শ্রেণি পাশ উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি জাফলং আমির মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অষ্টম শ্রেণি পাশ করেছেন মর্মে একটি জাল প্রত্যয়নপত্রও হলফনামায় সংযুক্ত করেন। তিনি উল্লেখ করেন, তার বাৎসরিক আয় ২ লাখ ৩৫ হাজার টাকা। কিন্তু ২০১০ সাল থেকে জাফলং পাথরকোয়ারি ধ্বংসের হোতা হিসাবে নিজেকে পরিণত করেন। ২০১৯ সাল পর্যন্ত চলে তার কর্তৃত্ব। তার নির্দেশে জাফলংয়ের পিয়াইন এবং ডাউকি নদীতে বসে কয়েক শ বোমা মেশিন। ৬০ থেকে ৮০ ফুট গর্ত করে পরিবেশ ধ্বংস করে এসব যন্ত্র দিয়ে পাথর উত্তোলনে সহায়তা করেন তিনি। বিনিময়ে যারা যন্ত্র ব্যবহার করেন, প্রতিদিন তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেন মোটা অঙ্কের টাকা। পাথর উত্তোলন মৌসুমে প্রতিদিন চাঁদা আদায় করেছেন প্রায় ৩০ থেকে ৪০ লাখ। কয়েক বছরেই হয়ে যান শতকোটি টাকার মালিক।
এরপর পাথরকোয়ারিতে প্রশাসন নজরদারি বাড়লে লিয়াকতের চোখ পড়ে তামাবিল স্থলবন্দরে। ২০১৭ সাল থেকে দলীয় প্রভাবে লিয়াকত আলী তামাবিল কয়লা ও চুনাপাথর সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হন। এরপর থেকে একচ্ছত্র চাঁদাবাজি চলে তার নেতৃত্বে। ব্যবসায়ীদের হিসাবমতে, স্থলবন্দরের লেবার হ্যান্ডলিং আর অবৈধ সুবিধা দিয়ে ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রতিদিন যে চাঁদা আসে, এর সিংহভাগই যেত লিয়াকত আলীর পকেটে। শুধু স্থলবন্দর থেকে প্রতিমাসে প্রায় ৫০ লাখ টাকা অবৈধভাবে আয় করতেন লিয়াকত আলী। ব্যবসায়ীরা বলছেন, এসব টাকা দেশের কোনো ব্যাংকে রাখতেন না তিনি। ভারতে শ্বশুরবাড়িতে পাচার করেন তিনি। তাদের মতে, কয়েক বছরে শুধু তামাবিল স্থলবন্দর থেকেই অর্ধশত কোটি টাকা অবৈধভাবে হস্তগত করেছেন লিয়াকত আলী। তামাবিলের ব্যবসায়ীরা জানান, ২০১৯ সালের পর দেশে যেসব সম্পদ গড়েছেন, তাও নিজের অত্যন্ত বিশ্বস্ত দু-এক ব্যবসায়ীর নামে রয়েছে।
২০১৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগ এনে মামলা করেন দুদক প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. সাইদুজ্জামান। পরে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয় সিলেট জেলা সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইসমাইল হোসেনকে। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি ঢাকার মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন ইসমাইল। দুই কোটি ৭৩ লাখ ৯৫২ টাকার অবৈধ সম্পদ সংরক্ষণের অপরাধে তার বিরুদ্ধে একটি মামলায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতে থাকা সম্পদের কোনো তদন্তই হয়নি এ মামলায়।
জমি দখল : ভুয়া দলিল দেখিয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা সদরের বাজারসংলগ্ন ৮ শতাংশ ভূমি দখল করেন, যার মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। এখনো সেই জমি তার দখলে। এই অভিযোগে সিলেটের জৈন্তাপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক লিয়াকত ও তৎকালীন সাবরেজিস্ট্রার বুরহান উদ্দিনসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন। এখানেই শেষ নয়, স্থানীয় খাসিয়াদের জমি এখনো রয়েছে লিয়াকতের দখলে। তিনি পালিয়ে গেলেও তার অনুসারীদের ভয়ে মুখ খুলছেন না ভুক্তভোগীরা। এছাড়া জৈন্তাপুর উপজেলার সব জলমাহল নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিলেন লিয়াকত আলী।
লিয়াকতকে দেশে ফিরিয়ে এনে শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সিলেটের সচেতন নাগরিকরা। এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সভাপতি ফারুক মাহমুদ চৌধুরী বলেন, লিয়াকত আলীর মতো ব্যক্তি যারা আঙুল ফলে কলাগাছ হয়েছেন, তাদের আইনের আওতায় আনার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে লিয়াকত আলী জাফলংয়ের পরিবেশ ধ্বংসের হোতা। জনশ্রুতি আছে তার সব অবৈধ টাকা ভারতে পাচার করেছে। তাকে আইনের আওতায় এনে এসব টাকা দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করতে হবে।