অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বাজারে ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে এটা ঠিক। এ ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের কথা বলে পার পাওয়া যাবে না। তবে বাজারে পণ্যের সরবরাহ যাতে বাড়ে ও দাম কমে আসে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিত্যপণ্যের দরদাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথাগুলো বলেন।
নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে ওই বাজার তদারকি কার্যক্রমের আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় বাণিজ্যসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টার কাছে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকেরা। জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা স্বীকার করছি যে পণ্যর দাম বেড়েছে। তবে দাম বাড়ার কারণও আছে। চাহিদার তুলনায় পণ্যের সরবরাহ কম। বাজারে বর্তমানে সবজিপণ্যের সরবরাহে বেশ সংকট রয়েছে। কারণ, সবজির উৎপাদন কমেছে। গত কয়েকটি বন্যা ও টানা বৃষ্টিতে অনেক সবজি নষ্ট হয়েছে। এখন উৎপাদন ও সরবরাহ কম থাকলে যতই বাজার তদারকি করা হোক, দাম খুব কমিয়ে আনা যাবে না।’
এদিকে মূল্যবৃদ্ধির কারণে সন্তুষ্ট নন উল্লেখ করে বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব ভোক্তাদের কষ্টটা লাঘব করা যায়। উৎপাদন, পাইকারি ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের ব্যবধানটা যেন সহনীয় থাকে, সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের দিক থেকে কোনো গাফিলতি নেই।’
সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে, এ বিষয়ে সরকার কী করছে তা জানতে চান এক সাংবাদিক। এর জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কথা বলে তো পার পাব না। তবে সিন্ডিকেট যেন না হয় সেই চেষ্টা করা হবে। যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁরা লোকসান করুক, সেটা চাই না। তবে অতি মুনাফা করবেন তা–ও ঠিক না। ব্যবসায়ীদের অনেকে অত্যধিক মুনাফা করেন। তবে অতি মুনাফাকারী পাইকার বা খুচরা বিক্রেতা যে-ই হোক, সেটি দেখা হবে।’
‘ডিম কি মেশিন দিয়ে তৈরি করব নাকি’
বাজারে ডিমের দাম অনেক বেড়েছে, সরবরাহ কম—এ বিষয়ে উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একাধিক সাংবাদিক। জবাবে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিম তো চকলেটের মতো কোনো পণ্য না যে সেটি কারখানায় চট করে বানিয়ে ফেলা যাবে।
ডিমের মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরবরাহ–সংকটকে বড় কারণ দাবি করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দৈনিক ডিমের চাহিদা প্রায় সাড়ে চার কোটি পিস। আগে দিনে সাড়ে চার-পাঁচ কোটি পিসের মতো ডিম উৎপাদন হতো। বর্তমানে তিন কোটির বেশি উৎপাদন নেই। এখন ডিম কি মেশিন দিয়ে তৈরি করব নাকি।’
ডিমের সরবরাহ–সংকট কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় তা নিয়ে কাজ করছেন বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘ডিমের বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমরা বসেছি। এ সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আবারও বসা হবে। পাশাপাশি ভারত থেকেও ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা ডিমের বাজার স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা করছি।’
বাণিজ্য উপদেষ্টার উদ্দেশে এক সাংবাদিক বলেন, অনেকে বলছেন সরকারের ব্যর্থতার কারণে গত দুই মাসে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। এর জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনারা মাত্র দুই মাসে একটা সরকারকে ব্যর্থ বলেন, অথচ গত ১৫ বছরে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কিছু বললেন না। এটা যৌক্তিক না। খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণ কঠিন বিষয়। এটা কারখানায় তৈরি ও বিতরণের জিনিস না।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, এমনভাবে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে যে বাংলাদেশ যেন আফ্রিকার কোনো দেশের মতো হয়ে গেছে। অনেকে বলার চেষ্টা করছে যে কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না, সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এসব বার্তা স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর কারওয়ান বাজারে নিত্যপণ্যের দরদাম ও সরবরাহ পরিস্থিতি পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথাগুলো বলেন।
নিয়মিত কাজের অংশ হিসেবে ওই বাজার তদারকি কার্যক্রমের আয়োজন করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ সময় বাণিজ্যসচিব মোহাং সেলিম উদ্দিন, ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টার কাছে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকেরা। জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমরা স্বীকার করছি যে পণ্যর দাম বেড়েছে। তবে দাম বাড়ার কারণও আছে। চাহিদার তুলনায় পণ্যের সরবরাহ কম। বাজারে বর্তমানে সবজিপণ্যের সরবরাহে বেশ সংকট রয়েছে। কারণ, সবজির উৎপাদন কমেছে। গত কয়েকটি বন্যা ও টানা বৃষ্টিতে অনেক সবজি নষ্ট হয়েছে। এখন উৎপাদন ও সরবরাহ কম থাকলে যতই বাজার তদারকি করা হোক, দাম খুব কমিয়ে আনা যাবে না।’
এদিকে মূল্যবৃদ্ধির কারণে সন্তুষ্ট নন উল্লেখ করে বাণিজ্যসচিব বলেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি যতটা সম্ভব ভোক্তাদের কষ্টটা লাঘব করা যায়। উৎপাদন, পাইকারি ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের ব্যবধানটা যেন সহনীয় থাকে, সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। আমাদের দিক থেকে কোনো গাফিলতি নেই।’
সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে, এ বিষয়ে সরকার কী করছে তা জানতে চান এক সাংবাদিক। এর জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘সিন্ডিকেটের কথা বলে তো পার পাব না। তবে সিন্ডিকেট যেন না হয় সেই চেষ্টা করা হবে। যাঁরা ব্যবসা করেন, তাঁরা লোকসান করুক, সেটা চাই না। তবে অতি মুনাফা করবেন তা–ও ঠিক না। ব্যবসায়ীদের অনেকে অত্যধিক মুনাফা করেন। তবে অতি মুনাফাকারী পাইকার বা খুচরা বিক্রেতা যে-ই হোক, সেটি দেখা হবে।’
‘ডিম কি মেশিন দিয়ে তৈরি করব নাকি’
বাজারে ডিমের দাম অনেক বেড়েছে, সরবরাহ কম—এ বিষয়ে উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন একাধিক সাংবাদিক। জবাবে উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিম তো চকলেটের মতো কোনো পণ্য না যে সেটি কারখানায় চট করে বানিয়ে ফেলা যাবে।
ডিমের মূল্যবৃদ্ধির জন্য সরবরাহ–সংকটকে বড় কারণ দাবি করে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আমাদের দৈনিক ডিমের চাহিদা প্রায় সাড়ে চার কোটি পিস। আগে দিনে সাড়ে চার-পাঁচ কোটি পিসের মতো ডিম উৎপাদন হতো। বর্তমানে তিন কোটির বেশি উৎপাদন নেই। এখন ডিম কি মেশিন দিয়ে তৈরি করব নাকি।’
ডিমের সরবরাহ–সংকট কীভাবে কাটিয়ে ওঠা যায় তা নিয়ে কাজ করছেন বলে জানান বাণিজ্য উপদেষ্টা। তিনি বলেন, ‘ডিমের বড় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ইতিমধ্যে আমরা বসেছি। এ সপ্তাহে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে আবারও বসা হবে। পাশাপাশি ভারত থেকেও ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আমরা ডিমের বাজার স্বাভাবিক করার জন্য চেষ্টা করছি।’
বাণিজ্য উপদেষ্টার উদ্দেশে এক সাংবাদিক বলেন, অনেকে বলছেন সরকারের ব্যর্থতার কারণে গত দুই মাসে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে। এর জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আপনারা মাত্র দুই মাসে একটা সরকারকে ব্যর্থ বলেন, অথচ গত ১৫ বছরে মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কিছু বললেন না। এটা যৌক্তিক না। খাদ্যদ্রব্যের সরবরাহ ও দাম নিয়ন্ত্রণ কঠিন বিষয়। এটা কারখানায় তৈরি ও বিতরণের জিনিস না।
সালেহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, এমনভাবে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে যে বাংলাদেশ যেন আফ্রিকার কোনো দেশের মতো হয়ে গেছে। অনেকে বলার চেষ্টা করছে যে কিছুই পাওয়া যাচ্ছে না, সব জিনিসের দাম বেড়ে যাচ্ছে। এসব বার্তা স্বল্প আয়ের মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টি করে।