যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বাকি আছে তিন সপ্তাহেরও কম সময়। গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে অবশ্য একদণ্ড বসে নেই দুই প্রেসিডেন্ট প্রার্থী। শেষ সময়ে দুই প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচার চলছে জোরেশোরে। এর মধ্যেই নতুন জরিপে ভোটের হিসাবে ওলটপালট দেখা যাচ্ছে।
ডেমোক্র্যাট পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জনপ্রিয়তায় বরাবরই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি টেলিভিশন বিতর্কের পরও ভোটারদের মাঝে নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন কমলা হ্যারিস। জনপ্রিয়তার নিরিখে এখনও অবশ্য ট্রাম্পের চেয়ে পিছিয়ে পড়েননি তিনি। তবে সর্বশেষ জরিপ বলছে, ভোটের যখন মাত্র ২০ দিন বাকি, তখন আগের চেয়ে জনপ্রিয়তা কিছুটা হারিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
স্থানীয় সময় রোববার প্রকাশিত তিনটি জরিপ অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসের দৌড়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে ট্রাম্পের সঙ্গে কমলার ভোটের ব্যবধান সংকুচিত বা প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেছে। এতে ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে তার বিজয়ের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি হয়েছে।
এনবিসি নিউজের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, জাতীয়ভাবে কমলা হ্যারিস ও ট্রাম্প উভয়ের সমর্থন সমান সমান- ৪৮ শতাংশ। তার মানে এক মাস আগের জরিপের তুলনায় হ্যারিসের সমর্থন প্রায় ৫ শতাংশ কমে গেছে। এবিসি নিউজ/ইপসোসের সর্বশেষ জরিপেও কমলা হ্যারিসের জনপ্রিয়তা কমতে দেখা গেছে। এই জরিপের ফল অনুযায়ী, কমলা হ্যারিস এখনও ৫০ শতাংশ বনাম ৪৮ শতাংশ (ট্রাম্পের সমর্থন) ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। তবে গত মাসে এই ব্যবধান ছিল ৫২ শতাংশ বনাম ৪৬ শতাংশ।
অন্যদিকে সিবিএস নিউজ/ইউগভ জরিপেও উঠে এসেছে একই চিত্র। কমলা হ্যারিসের প্রতি ৫১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনের বিপরীতের ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন ৪৮ শতাংশ ভোটার। একই প্রতিষ্ঠানের জরিপে গত মাসে আরও চার পয়েন্ট বেশি এগিয়ে ছিলেন কমলা। তার মানে সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, কমলা হ্যারিস গড়ে মাত্র ১.৪ শতাংশ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন, যা এক মাস আগের জরিপের ফলাফল থেকে প্রায় অর্ধেক কম। গত মাসের জরিপগুলোতে কমলা হ্যারিস গড়ে ২.২ শতাংশ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন।
সম্প্রতি ডেমোক্র্যাটরা আশঙ্কা করছিলেন, কমলা হ্যারিস হিস্পানিক ও আফ্রিকান-আমেরিকানদের মতো দুই গুরুত্বপূর্ণ ভোটার গোষ্ঠীর সমর্থন হারাচ্ছেন। সেই আশঙ্কার মধ্যেই নতুন এই জরিপের ফল প্রকাশিত হলো। সব জাতির নারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকলেও পুরুষদের মধ্যে, বিশেষ করে আফ্রিকান-আমেরিকান ও হিস্পানিকদের মধ্যে কমলার সমর্থন বাড়ছে না। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ভোটার গোষ্ঠী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকেছে। শনি ও রোববার প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমস/সিয়েনা কলেজের জরিপে দেখা গেছে, এবার ৭৮ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ ভোটার এবং ৫৬ শতাংশ হিস্পানিক ভোটার কমলা হ্যারিসের পক্ষে রয়েছেন। কিন্তু এই সমর্থন ২০২০ ও ২০১৬ সালের ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর প্রতি তাদের সমর্থনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
অন্যদিকে বুকমেকার বা বাজিকররা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা গড়ে ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ বলে অনুমান করেছেন, ইলেকশন বেটিং অডস পোর্টাল রিপোর্ট করেছে। তাদের মতে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রেসিডেন্ট পদে জেতার সম্ভাবনা রয়েছে গড়ে ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
এদিকে রোববার নর্থ ক্যারোলিনার গ্রিনভিলে এক প্রচারে হ্যারিস ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, তিনি (ট্রাম্প) সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন, যেটি মানুষের মধ্যে আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে।
অন্যদিকে অ্যারিজোনার প্রেসকট ভ্যালিতে এক সমাবেশে পুনর্নির্বাচিত হলে ১০ হাজার অতিরিক্ত সীমান্তরক্ষী নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি জেতার পর কংগ্রেসকে অবিলম্বে ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করতে বলব যেহেতু তাদের বেতন অনেক দিন বাড়ে না এবং প্রতিটি এজেন্টের জন্য ১০ হাজার ডলার সাইনিং বোনাস থাকবে, তাদের ধরে রাখার জন্য।
ডেমোক্র্যাট পার্টির মনোনয়ন পাওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস জনপ্রিয়তায় বরাবরই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন। ট্রাম্পের সঙ্গে মুখোমুখি টেলিভিশন বিতর্কের পরও ভোটারদের মাঝে নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিলেন কমলা হ্যারিস। জনপ্রিয়তার নিরিখে এখনও অবশ্য ট্রাম্পের চেয়ে পিছিয়ে পড়েননি তিনি। তবে সর্বশেষ জরিপ বলছে, ভোটের যখন মাত্র ২০ দিন বাকি, তখন আগের চেয়ে জনপ্রিয়তা কিছুটা হারিয়েছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
স্থানীয় সময় রোববার প্রকাশিত তিনটি জরিপ অনুযায়ী, হোয়াইট হাউসের দৌড়ের চূড়ান্ত পর্যায়ে এসে ট্রাম্পের সঙ্গে কমলার ভোটের ব্যবধান সংকুচিত বা প্রায় অদৃশ্য হয়ে গেছে। এতে ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে তার বিজয়ের সম্ভাবনা নিয়ে নতুন করে সংশয় তৈরি হয়েছে।
এনবিসি নিউজের সর্বশেষ জরিপে দেখা গেছে, জাতীয়ভাবে কমলা হ্যারিস ও ট্রাম্প উভয়ের সমর্থন সমান সমান- ৪৮ শতাংশ। তার মানে এক মাস আগের জরিপের তুলনায় হ্যারিসের সমর্থন প্রায় ৫ শতাংশ কমে গেছে। এবিসি নিউজ/ইপসোসের সর্বশেষ জরিপেও কমলা হ্যারিসের জনপ্রিয়তা কমতে দেখা গেছে। এই জরিপের ফল অনুযায়ী, কমলা হ্যারিস এখনও ৫০ শতাংশ বনাম ৪৮ শতাংশ (ট্রাম্পের সমর্থন) ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছেন। তবে গত মাসে এই ব্যবধান ছিল ৫২ শতাংশ বনাম ৪৬ শতাংশ।
অন্যদিকে সিবিএস নিউজ/ইউগভ জরিপেও উঠে এসেছে একই চিত্র। কমলা হ্যারিসের প্রতি ৫১ শতাংশ ভোটারের সমর্থনের বিপরীতের ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন ৪৮ শতাংশ ভোটার। একই প্রতিষ্ঠানের জরিপে গত মাসে আরও চার পয়েন্ট বেশি এগিয়ে ছিলেন কমলা। তার মানে সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, কমলা হ্যারিস গড়ে মাত্র ১.৪ শতাংশ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে আছেন, যা এক মাস আগের জরিপের ফলাফল থেকে প্রায় অর্ধেক কম। গত মাসের জরিপগুলোতে কমলা হ্যারিস গড়ে ২.২ শতাংশ পয়েন্ট ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন।
সম্প্রতি ডেমোক্র্যাটরা আশঙ্কা করছিলেন, কমলা হ্যারিস হিস্পানিক ও আফ্রিকান-আমেরিকানদের মতো দুই গুরুত্বপূর্ণ ভোটার গোষ্ঠীর সমর্থন হারাচ্ছেন। সেই আশঙ্কার মধ্যেই নতুন এই জরিপের ফল প্রকাশিত হলো। সব জাতির নারীদের মধ্যে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে থাকলেও পুরুষদের মধ্যে, বিশেষ করে আফ্রিকান-আমেরিকান ও হিস্পানিকদের মধ্যে কমলার সমর্থন বাড়ছে না। এই দুই গুরুত্বপূর্ণ ভোটার গোষ্ঠী সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ট্রাম্পের দিকে ঝুঁকেছে। শনি ও রোববার প্রকাশিত নিউইয়র্ক টাইমস/সিয়েনা কলেজের জরিপে দেখা গেছে, এবার ৭৮ শতাংশ কৃষ্ণাঙ্গ ভোটার এবং ৫৬ শতাংশ হিস্পানিক ভোটার কমলা হ্যারিসের পক্ষে রয়েছেন। কিন্তু এই সমর্থন ২০২০ ও ২০১৬ সালের ডেমোক্র্যাট প্রার্থীর প্রতি তাদের সমর্থনের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
অন্যদিকে বুকমেকার বা বাজিকররা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের সম্ভাবনা গড়ে ৫৩ দশমিক ৭ শতাংশ বলে অনুমান করেছেন, ইলেকশন বেটিং অডস পোর্টাল রিপোর্ট করেছে। তাদের মতে, মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের প্রেসিডেন্ট পদে জেতার সম্ভাবনা রয়েছে গড়ে ৪৫ দশমিক ৭ শতাংশ।
এদিকে রোববার নর্থ ক্যারোলিনার গ্রিনভিলে এক প্রচারে হ্যারিস ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলেন, তিনি (ট্রাম্প) সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় সরকারের ভূমিকা নিয়ে ভুল তথ্য ছড়াচ্ছেন, যেটি মানুষের মধ্যে আস্থা কমিয়ে দিচ্ছে।
অন্যদিকে অ্যারিজোনার প্রেসকট ভ্যালিতে এক সমাবেশে পুনর্নির্বাচিত হলে ১০ হাজার অতিরিক্ত সীমান্তরক্ষী নিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, আমি জেতার পর কংগ্রেসকে অবিলম্বে ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি করতে বলব যেহেতু তাদের বেতন অনেক দিন বাড়ে না এবং প্রতিটি এজেন্টের জন্য ১০ হাজার ডলার সাইনিং বোনাস থাকবে, তাদের ধরে রাখার জন্য।