অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে উপদেষ্টাদের অনেকেরই আজীবন ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা আছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ। আজ মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ লেবার পার্টি আয়োজিত ‘গণঅভ্যুত্থান জন-আকাঙ্ক্ষা রাষ্ট্র মেরামতে প্রস্তাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এমন মন্তব্য করেন তিনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই সরকার গঠিত হয়েছে জনরায়ে, জনগণের ইচ্ছায়। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে, আমরা ধীরে ধীরে হতাশ হচ্ছি! নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের কৃতী সন্তান, বিশ্বব্যাপী তার পরিচিতি। বিদেশে বাংলাদেশের ফেইস (মুখ), তার চেয়ে যোগ্য ব্যক্তি আমরা এই মুহূর্তে পেতাম না। তিনি (ড. ইউনূস) ক্ষমতায় থাকতেও চান না, আগেও তাকে অফার করা (প্রস্তাব দেওয়া) হয়েছিল, থাকেননি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘এখনো যে তিনি খুব এনজয় করছেন, তা মনে হয় না। কিন্তু একটা কথা আমার বলতে হচ্ছে, তার টিম সিলেকশনটা (নির্বাচন) ঠিক হয়নি। তিনি যাদের সঙ্গে নিয়েছেন, তাদের অনেকের আজীবন ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা আছে। হয়তো প্রকাশ করতে পারেন না, কিন্তু ভাবভঙ্গিতে এমনই মনে হয়।’
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস একেকজন উপদেষ্টাকে চারটা-পাঁচটা করে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে এদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। এ ব্যাপারে তাকে চিন্তা করতে হবে। অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্য থেকে ভালোদের নিয়ে দায়িত্ব দেন। দরকার হলে যে ছাত্ররা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে, তাদের থেকে আরও লোক নেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের টিমে খেলে এসেছেন অতীতে, তাদের আর উপদেষ্টা পরিষদে আমরা দেখতে চাই না।’
দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সরকার অনেক কথা বলে, কিন্তু একটা কথা তাদের মুখ থেকে শোনা যায় না যে নির্বাচন কবে হবে। কবে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। অরাজনৈতিক এবং বিজ্ঞ লোকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে আইন যদি পরিবর্তন করতে হয় তাহলে তা দ্রুত করা যায়।’
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের আর রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গোলটেবিল বৈঠকে রাষ্ট্র মেরামতের ২৩ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। জোহরা খাতুন জুঁইয়ের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, যুবদলের সাবেক নেতা অ্যালবার্ট পি কস্তা, ওলামা দলের মাওলানা শাহ নেছারুল হক, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম সিয়াম প্রমুখ।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিষয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘এই সরকার গঠিত হয়েছে জনরায়ে, জনগণের ইচ্ছায়। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে, আমরা ধীরে ধীরে হতাশ হচ্ছি! নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের কৃতী সন্তান, বিশ্বব্যাপী তার পরিচিতি। বিদেশে বাংলাদেশের ফেইস (মুখ), তার চেয়ে যোগ্য ব্যক্তি আমরা এই মুহূর্তে পেতাম না। তিনি (ড. ইউনূস) ক্ষমতায় থাকতেও চান না, আগেও তাকে অফার করা (প্রস্তাব দেওয়া) হয়েছিল, থাকেননি।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য বলেন, ‘এখনো যে তিনি খুব এনজয় করছেন, তা মনে হয় না। কিন্তু একটা কথা আমার বলতে হচ্ছে, তার টিম সিলেকশনটা (নির্বাচন) ঠিক হয়নি। তিনি যাদের সঙ্গে নিয়েছেন, তাদের অনেকের আজীবন ক্ষমতায় থাকার ইচ্ছা আছে। হয়তো প্রকাশ করতে পারেন না, কিন্তু ভাবভঙ্গিতে এমনই মনে হয়।’
তিনি বলেন, ‘ড. ইউনূস একেকজন উপদেষ্টাকে চারটা-পাঁচটা করে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দিয়েছেন। বিশেষ করে এদের কোনো অভিজ্ঞতা নেই। এ ব্যাপারে তাকে চিন্তা করতে হবে। অরাজনৈতিক ব্যক্তিদের মধ্য থেকে ভালোদের নিয়ে দায়িত্ব দেন। দরকার হলে যে ছাত্ররা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করেছে, তাদের থেকে আরও লোক নেন, কিন্তু আওয়ামী লীগের টিমে খেলে এসেছেন অতীতে, তাদের আর উপদেষ্টা পরিষদে আমরা দেখতে চাই না।’
দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে হাফিজ উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সরকার অনেক কথা বলে, কিন্তু একটা কথা তাদের মুখ থেকে শোনা যায় না যে নির্বাচন কবে হবে। কবে নির্বাচন কমিশন গঠন হবে। অরাজনৈতিক এবং বিজ্ঞ লোকদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে আইন যদি পরিবর্তন করতে হয় তাহলে তা দ্রুত করা যায়।’
বাংলাদেশে আওয়ামী লীগের আর রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
গোলটেবিল বৈঠকে রাষ্ট্র মেরামতের ২৩ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান। জোহরা খাতুন জুঁইয়ের সঞ্চালনায় এতে আরও বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক, অধ্যাপক ড. সুকোমল বড়ুয়া, যুবদলের সাবেক নেতা অ্যালবার্ট পি কস্তা, ওলামা দলের মাওলানা শাহ নেছারুল হক, লেবার পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এস এম ইউসুফ আলী, যুগ্ম মহাসচিব নুরুল ইসলাম সিয়াম প্রমুখ।