কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এইচ এম সাইদুর রহমানের মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে ৬ দিনে অবৈধভাবে ৪৫৯টি জন্মনিবন্ধন তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মিনারুল হকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগও দিয়েছেন ওই চেয়ারম্যান।
চেয়ারম্যান এ কে এইচ এম সাইদুর রহমান দুলাল অভিযোগ করেন, তার অজান্তে অক্টোবর মাসের ১৫ তারিখ থেকে ২০ তারিখ পর্যন্ত তার জন্মনিবন্ধন আইডির মোবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড পরিবর্তন করে অবৈধভাবে ৪৫৯ জনের জন্মনিবন্ধন সনদ তৈরি করে বিতরণ করেছেন চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা (সচিব) মিনারুল হক। যার প্রায় ৯৭ শতাংশ বিভিন্ন জেলা ও বিভাগের মানুষের নামে। ওইসব সনদধারীদের শনাক্ত করতে পারেনি ইউপি সদস্য, গ্রাম পুলিশ ও এলাকার জনগণ। চেয়ারম্যান ও স্থানীয়দের ধারণা এসব নিবন্ধন রোহিঙ্গা ও বিভিন্ন অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
চেয়ারম্যান আরও অভিযোগ করেন, গত ১৮ আগস্ট চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদে যোগদান করেন সচিব মিনারুল হক। যোগদানের দিন ছাড়া অন্য সব দিনে ইউনিয়ন পরিষদে অনুপস্থিত থাকেন তিনি। এ কারণে তাকে একাধিকবার কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে। তিনি পরিষদে না আশায় স্থবির হয়ে পড়েছে পরিষদের কার্যক্রম। সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ জনগণ।
অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য জানতে চরশৌলমারী ইউনিয়ন পরিষদের সচিব মিনারুল হক বলেন, অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত চলমান রয়েছে তদন্তে আমি যদি অপরাধী হই তাহলে আমাকে যে শাস্তি দেবে তা আমি মাথা পেতে নেবো।
রৌমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাজী আনিসুল ইসলাম বলেন, এরকম একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।