বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ৫ আগস্টকে আজকে আমরা যেমন দ্বিতীয় স্বাধীনতা বলছি, তেমনি ৭ নভেম্বরকে আমরা বলতাম প্রকৃত স্বাধীনতা। ৭ নভেম্বর হচ্ছে স্বাধীনতার পূর্ণাঙ্গ রূপ। সেদিন এ দেশের মানুষ পূর্ণ মুক্তি লাভ করেছিল।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (০৭ নভেম্বর) বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাসাস আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রিজভী বলেন, দ্বিতীয় স্বাধীনতার প্রথম শহীদ হচ্ছেন বুয়েটের মেধাবী শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ। আবরার আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে প্রতিবাদ করেছিল। এজন্য তাকে নির্মম নির্যাতন করে দোতলা থেকে ফেলে দিয়ে হত্যা করা হলো। তার মতো দেশপ্রেমিককে আমরা দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের প্রথম শহীদ বলতেই পারি। দেশের প্রতিটি ঘরে আবরার, মুগ্ধ, আবু সাঈদদের জন্ম হয়েছে। যে দেশের ৩০ লক্ষ মানুষ স্বাধীনতার জন্য তাদের জীবন উৎসর্গ করতে পারে, মা-বোনেরা বিলিয়ে দিতে পারে তাদের সর্বোচ্চ সম্ভ্রম- এমন জাতিকে, এমন দেশকে কোনো আধিপত্যবাদী শক্তি দাবিয়ে রাখতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, আমাদের দেশের মানুষ, যারা দেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন, দেশের জন্য আত্মাহুতি দিয়েছিলেন, ১৯৭৫ সালে বাকশাল গঠন করে তাদের বাক-স্বাধীনতা কেড়ে নেওয়া হয়েছিল। দেশের স্বাধীনতা-স্বার্বভৌমত্বকে বিকিয়ে দেওয়া হয়েছিল। বাংলাদেশকে একটি তাবেদার রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছিল। ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহি-জনতা মিলে জিয়াউর রহমানকে ক্ষমতায় বসিয়েছিলেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় বসে মানুষের বাকস্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন, ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্র। দেশকে করেছিলেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আওয়ামী লীগের গলায় ফাঁস দিয়ে বাকশাল গঠন করা হয়েছিল। সেই আওয়ামী লীগ জিয়াউর রহমানের কাছে আবেদন করে রাজনীতিতে ফিরে এসেছিল। আর সে কারণে জিয়াউর রহমানকে ৭ নভেম্বর থেকে হত্যার টার্গেট করা হয়েছিল। এ সময় জাসাসের আহ্বায়ক হেলাল খান, সদস্য সচিব জাকির হোসেন রোকন, যুগ্ম আহ্বায়ক ইথুন বাবুসহ নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।