এজাহার সূত্রে জানা যায় গত ২০১৩ সালে ফরিদপুর থানাধীন দহকুলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত আব্দুল মান্নান সরকারের মৃত্যুর পর তার তিন ছেলে ও এক মেয়ের মাঝে সম্পত্তি ভাগ হয়। তার স্ত্রী জীবিত থাকায় তার ছোটো ছেলে বাবু সরকার (৪৮) পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া ৬ বিঘা সম্পত্তি তার মায়ের ভরণ পোষণের জন্য মাকে ভোগ দখলে দেন। বাবু ব্যবসায়িক প্রয়োজনে পাবনা শহরে বসবাস করায় সেই সুযোগে তার মেঝ ভাই মিল্টন সরকার (৫০), কাশিপুরধীন বোন রুখসানা বেগম (৪৫) ও ভাগিনা রাব্বী দেওয়ান সুকৌশলে বাবুর মাকে ভোগ দখলে দেয়া বাবুর সেই সম্পত্তি তার অগোচরে বিভিন্ন জায়গায় ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকায় কট দেয়। মায়ের মৃত্যুর পর বাবু সেই সম্পত্তি নিজের দখলে নিতে গেলে বিষয়টি জানতে পারে। তখন সে তার প্রাপ্ত ৬ বিঘা সম্পত্তি কট ছাড়িয়ে দিতে ভাই, বোন ও ভাগিনাকে অনুরোধ করলে তারা ২-১ মাসের মধ্যে বাবুকে টাকাটা দিয়ে দেবে বলে বাবুকে টাকাটা পরিশোধ করতে বলে। বাবু তাদের সরল বিশ্বাস করে ২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকা দিয়ে কট ছাড়ায় কিন্তু ২ মাস পার হলে তারা বাবুকে দেয়া প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে। বাবু বার বার অনুরোধ করলে কিসের পাওনা টাকা বলে অস্বীকার করে ও বাবুকে প্রাননাশের হুমকি দেন এই বলে যে, তুই গ্রামে আসলে জবাই করে ফেলবো।তখন উপায় না পেয়ে বাবু বাদী হয়ে পাবনা জেলা বিজ্ঞ আমলী ০৬ নং ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ৪২০/ ৪০৬/ ৫০৬ ও ১০৯ ধারায় মামলা দায়ের করেন যা পিবিআই তদন্তাধীন। মামলার এক নং সাক্ষী বাবুর বড় ভাই শাহীন সরকারকেও তার বাড়িতে গিয়ে প্রান নাশের হুমকি দেয় মিল্টন গং। তারপর থেকে শাহীন নিজের নিরাপত্তার কথা ভেবে নিজ বাড়ি ছেড়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। এরপর বাবু তার সম্পত্তি ফরিদপুর থানাধীন কাশিপুরের মৃত-ওমর প্রামানিকের ছেলে তোতা প্রামানিককে ২ বিঘা ১২ কাঠা ও দহকুলাডাঙ্গা গ্রামের জয়নাল প্রামানিকে ১ বিঘা ৫ কাঠা বাৎসরিক লিজ দেন। তারা চার বছর লিজের মাধ্যমে এ জমি চাষাবাদ করে আসছে। এদিকে বাবুর ভাই ও বোন মিল্টন ও রোকসানা গত ৭ নভেম্বর দুপুর অনুমান ১২ টার দিকে মাঠে গিয়ে তোতার লিজ নেয়া সম্পত্তির ব্যাপক ফসল নষ্ট করে এবং জয়নালের বাড়িতে গিয়েও ফসল বুনলে উপড়ে ফেলার হুমকি দেয়। তারা আরও হুমকি দেয় এর পরও যদি তোতা এই জমিতে ফসল ফলাতে আসে তাহলে জমির ফসলসহ তোতাকে জবাই করবো। হুমকি পেয়ে তোতা প্রামানিক ১০ অক্টোবর রোকসানা ও মিল্টনের বিরুদ্ধে ফরিদপুর থানায় একটি অভিযোগ করেন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায় রোকসানা বেগম বনওয়ারী নগর ইউনিয়ন পরিষদের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বর হওয়ায় আওয়ামীলীগের প্রভাব খাটিয়ে বিগত সরকারের আমল থেকেই গ্রামের অনেক মানুষের সাথে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে আসছে যার রেশ কাটাতে না পেরে এখনও মানুষের ক্ষতি করে চলছে। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ইমরান
মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন থানায় অভিযোগ পেয়েছি। ওসি স্যার আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। তদন্ত চলছে। সঠিক সময় প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
মুঠোফোনে এই প্রতিবেদককে বলেন থানায় অভিযোগ পেয়েছি। ওসি স্যার আমাকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। তদন্ত চলছে। সঠিক সময় প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।