
রাজধানীর মগবাজারের একটি আবাসিক হোটেল থেকে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ছেলের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেলে লাশগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, মৃত দম্পতি তাদের ছেলের চিকিৎসার জন্য লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জের বাড়ি থেকে শনিবার ঢাকায় আসেন। তারা মগবাজার সুইট স্লিপ হোটেলে ওঠেন। শনিবার ডাক্তার দেখাতে পারেননি তারা। ওই রাতে মগবাজারের একটি রেস্তোরাঁ থেকে খাবার এনে হোটেলে খান। এর পর তারা অসুস্থ হয়ে পড়েন। আজ দুপুরে অচেতন অবস্থায় তিনজনকে মগবাজারের আদ-দ্বীন হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত্যু নিশ্চিত করেন।
রমনা থানার ওসি গোলাম ফারুক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মৃতরা হলেন- লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জ উপজেলার ভোলাকোট ইউনিয়নের দেহলা বেপারি বাড়ির মনির হোসেন (৪৫), তার স্ত্রী স্বপ্না বেগম (৩৫) ও তাদের ছেলে আরাফাত হোসেন নাইম (১৪)। চিকিৎসার জন্য ঢাকায় আসেন তারা।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার মনির হোসেন পরিবার নিয়ে চিকিৎসার উদ্দেশে ঢাকা যান। নির্ধারিত চিকিৎসকের অ্যাপয়েন্টমেন্ট না পাওয়ায় তারা মগবাজারের একটি হোটেলে ওঠেন। রোববার সকালে মনির হোসেন পরিবারের এক স্বজনকে ফোন করে জানান, তারা তিনজনেই বমি করছেন এবং শারীরিকভাবে খুবই অসুস্থ। খবর পেয়ে স্বজনরা হোটেলে পৌঁছে পুলিশকে খবর দেন। এরপর পুলিশ এসে কক্ষ থেকে স্বপ্না ও নাইমের মরদেহ উদ্ধার করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় মনির হোসেনকে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মাসুদ আলম বলেন, ঘটনার পর হোটেলের কক্ষ সিলগালা করা হয়েছে এবং আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।